খেলাধুলা

একইদিনে রেকর্ডবুকে সাইফ ও মুমিনুল

চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটের সুপার লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে একইদিনে ভিন্ন দুইটি রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের ওপেনার সাইফ হাসান এবং লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের অভিজ্ঞ তারকা মুমিনুল হক।

Advertisement

তবে দুইজনের রেকর্ডটা দুই বিভাগে। চলতি লিগে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সাইফ রেকর্ড গড়েছেন ব্যাট হাতে এবং মুমিনুল হকের রেকর্ডটা ফিল্ডিংয়ের। তবে সাইফের রেকর্ডটা শুধুমাত্র দেশের ক্রিকেটের রেকর্ড হলেও মুমিনুলেরটা আবার বিশ্বরেকর্ড।

রোববার বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে রীতিমতো টর্ণেডো বইয়েছেন ২০ বছর বয়সী সাইফ। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বোলারদের তুলোধুনো করে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাইফের অগ্রজ সৌম্য সরকার। খেলেন ৭৯ বলে ১০৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস।

তার দেখাদেখি সে মাঠের পাশেই বিকেএসপির ৪ নম্বরে সৌম্যকেও ছাপিয়ে যান সাইফ। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বোলারদের নাকের ঘাম, মুখের ঘাম এক করে ঝড়ো সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। খেলেন ১১১ বলে ১০ চার ও ১১ ছক্কার মারে অপরাজিত ১৪৮ রানের ইনিংস। আর এতেই নাম তোলেন রেকর্ডবুকে।

Advertisement

বাংলাদেশের হয়ে লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড এটি। তবে তার সমান ১১টি করে ছক্কা রয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং সৌম্য সরকারেরও। ফলে এ রেকর্ডে তৃতীয় ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান।

২০১৬ সালের প্রিমিয়ারে শেখ জামালের বিপক্ষেই ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে ৫১ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলার পথে ১১টি ছক্কা হাঁকিয়ে রেকর্ড গড়েন মাশরাফি। পরে গতবছর বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে ব্রাদার্সের বিপক্ষে ১২৭ বলে ১৫৪ রানের ইনিংসে ১১ ছক্কা হাঁকিয়ে মাশরাফির পাশে বসেন সৌম্য।

এ তালিকায় সবশেষ সংযোজন সাইফ। তাও কী এক অদ্ভুত কাকতাল! মাশরাফির মতো শেখ জামালের বিপক্ষে এবং সৌম্যর মতো বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠেই ১১১ বলে ১৪৮ রানের ইনিংস খেলার পথে ১১ ছক্কা হাঁকালেন সাইফ।

Advertisement

 

এ তো গেলো সাইফের গুণকীর্তন। এবার আসা যাক মুমিনুলের বিশ্বরেকর্ডে। সাইফের পাশে মাঠে বিকেএসপির তিন নম্বরে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ঝড়ো সেঞ্চুরি করা সৌম্য সরকারের ক্যাচ নিয়ে শুরু করেছিলেন মুমিনুল। পরে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের ক্যাচ।

৫ ক্যাচ ধরে লিস্ট 'এ' ক্রিকেটের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচের বিশ্বরেকর্ডে নাম তোলেন তিনি। অবশ্য মুমিনুল একা নন, বাংলাদেশের হয়ে যৌথভাবে এই রেকর্ডের মালিক তিনি। প্রিমিয়ারের গত মৌসুমে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ৫টি ক্যাচ লুফে নেন ফরহাদ হোসেন।

সব মিলিয়ে মুমিনুলসহ ১৬ জন ফিল্ডারের ইনিংসে ৫টি ক্যাচ ধরার নজির রয়েছে। সবার আগে ১৯৭৬ সালে এ কৃতিত্ব দেখান ভিক মার্কস। পরে ৫ ক্যাচ নেয়ার রেকর্ড স্পর্শ করেন জন রাইস, অ্যালান কুরি, জন্টি রোডস, জেফ উইলসন, কেনি জ্যাকসন, মোহাম্মদ রমজান, অমিত শর্মা, ব্র্যাড ইয়াং, হাসনাইন রাজা, তৌফিক উমর, ডেভিড সেলস, অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইস, ফরহাদ হোসেন, জাহিদ জাখাইল এবং মুমিনুল হক। এদের মধ্যে জন্টি রোডসই শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখিয়েছেন ৫ ক্যাচ ধরার কৃতিত্ব।

এসএএস/এমকেএইচ