আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আমিই কুরআন নাজিল করেছি আর আমিই তা হেফাজত করব।’ (সূরা হিজর) আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর এ ওয়াদা পূর্ণ করেছেন। যার হেফাজতের ধরণ অনেক বিস্ময়কর। ফলে কুরআনের শব্দ, অর্থ, লিখনপদ্ধতিসহ সব পদ্ধতিই সংরক্ষিত আছে। কুরআন মুখস্ত করা ফরজ অর্থাৎ কি পরিমাণ আয়াত বা সূরা মুখস্ত করা ফরজ। তা জানা আবশ্যক। এ বিষয়ে সংক্ষিপ্তাকারে জাগো নিউজে তুলে ধরা হলো-মুখস্তের পরিমাণ
Advertisement
হযরত উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন- তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সে, যে কুরআন মাজিদ শিক্ষা করেন এবং অপরকে শিক্ষা দেন। (বুখারি)হযরত আবু সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- আল্লাহ পাক বলেন, যে ব্যক্তি কুরআন শরীফ পড়ানোর কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে আমার জিকির এবং আমার নিকট প্রার্থনা করা হতে বঞ্চিত রইল, তাকে প্রার্থনাকারীদের চেয়েও বেশি পরিমাণ দান করে থাকি। এবং আল্লাহর কালামের মর্যাদা অন্য সমস্ত কালামের উপর এই পরিমাণ বেশি যেই পরিমাণ স্বয়ং আল্লাহ পাকের মর্যাদা সমস্ত মাখলুকের উপর। (তিরমিজি)কুরআন মুখস্তে অনীহা কেন?
কুরআন হিফজের প্রতি অনীহার মৌলিক কারণ তিনটি:- ১. ঈমানের দুর্বলতা, কুরআনের প্রতি মহব্বত ও ভালবাসার অভাব। ২. এই ভূল উপলব্দি যে, হাফেজ হওয়া শিশুদের কাজ। ৩. এই ভুল ধারনা যে, এতটুকু মুখস্থ করাই জরুরি যতটুকুতে নামাজ আদায় করা যায়।পরিশেষে...প্রত্যেক মুমিন জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হবে, পরিবারের প্রতিটি ব্যক্তিই হবে হাফেজ। শিশু বয়সে না পারলে পরবর্তীতে এ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। যত বেশি হিফজ করা যায় ততই মুমিনের সৌভাগ্য। তাই প্রত্যেক মুসলমানের জীবনের সূচনা ও ভিত্তি হবে কুরআন। আল্লাহ আমাদের নিয়্যাত কবুল করুন এবং উত্তম প্রতিদান দান করুন। আমিন। জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামি আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।# কুরআনের সংরক্ষণ যেভাবে শুরু# কুরআন তিলাওয়াতের নিয়মাবলী# কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলতএমএমএস