ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম বলেছেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে বিতর্কিত সাম্প্রদায়িক পোস্ট, লাইক, কমেন্ট বা শেয়ার থেকে বিরত থাকুন। সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ বিভাগ এ বিষয়ে মনিটরিং জোরদার করেছে। যারাই অপকর্ম করবে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত এবং একই সঙ্গে উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে আমাদের দেশে সকল সম্প্রদায়ের নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান উল্লেখ করার মতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের বিশেষ কিছু মহল সাম্প্রদায়িক কনফ্লিক্টকে উস্কে দিচ্ছে, যা নিঃসন্দেহে ঘৃণ্য কাজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে অনেকের উগ্র সাম্প্রদায়িক পোস্ট আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।’
উল্লেখ্য, দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় গীর্জা এবং বিলাসবহুল হোটেল ও অন্যান্য স্থাপনায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বেড়ে ২০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার সকালের দিকের এই সিরিজ হামলায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৪৫০ জন।
Advertisement
হামলার কয়েক ঘণ্টা পর দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে নিহতের সংখ্যা ১৯০ জন বলে জানায়। কিন্তু সরকারের এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পর দেশটির পুলিশ বলছে, রাজধানী কলম্বোজুড়ে সিরিজ বোমা হামলায় ২০৭ জন নিহত ও আরো ৪৫০ জন আহত হয়েছেন।
ইস্টার সানডের সকালে কলম্বোর বিলাসবহুল সিনামুন গ্রান্ড, শাঙ্গরি-লা ও কিনসবুরি হোটেল ও কলম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি গীর্জা, নেগোমবোর সেন্ট সেবাস্তিয়ান গীর্জা ও বাত্তিকালোয়ার জিওন গীর্জায় ওই হামলা হয়।
দেশটির প্রধান এবং প্রসিদ্ধ গীর্জাগুলো ইস্টার সানডের দিনে আক্রান্ত হতে পারে বলে ওই সতর্কবার্তায় জানান তিনি। রোববার সকাল ৮টার দিকে প্রথম বিস্ফোরণের খবর আসে। সময় যত গড়িয়ে যাচ্ছে নিহতের সংখ্যা ততই লাফিয়ে বাড়ছে। দেশটির ইতিহাসে এই হামলাকে কালো অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
বোমা হামলায় হতাহতের ঘটনায় দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পুরো দেশে কারফিউ বলবৎ থাকবে। আগামী সোম ও মঙ্গলবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
Advertisement
এআর/এমআরএম