হযরত গাউছুল আজমের সারা জীবনের কান্না ছিল হে আল্লাহ! তুমি এই তরিক্বতকে আরব থেকে আজমে জ্বীন থেকে ইনসানের মধ্যে পৌঁছে দাও। গাউছুল আজমের এই দোয়া আল্লাহর রহমতে আজ বাস্তব। এই তরিক্বত গাউছুল আজমের চোখের জলের ওপর প্রতিষ্ঠিত। গাউছুল আজম এর তরিক্বত শান্তি প্রতিষ্ঠার অনন্য ক্ষেত্র। মানবের হৃদয়ে হৃদয়ে শান্তিধারা প্রতিষ্ঠিত হয় এই তরিক্বতের সংস্পর্শে।
Advertisement
এই তরিক্বতের জিম্মাদার স্বয়ং আল্লাহ ও রাসুল। যার আলোক আঁভায় মানুষ আলোকিত মানুষে পরিণত হচ্ছে। অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনে বিরল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। হযরত গাউছুল আজম হলেন একজন শান্তি প্রতিষ্ঠার অনন্য দিকপাল। রোববার (২১ এপ্রিল) চট্টগ্রাম কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের ৬৬ তম পবিত্র শবে বরাত মাহফিলে বক্তারা এ কথা বলেন। বাদে নামাজে যোহর থেকেই অনুষ্ঠিত মাহফিলে টুপি ও তসবিহ হাতে কেউবা পায়ে হেটে, আবার কেউবা গাড়ি যোগে দলে দলে আসতে শুরু করে এ দরবারের লাখো অনুসারী, ভক্ত, আলেম, হাফেজ, যুবক, এলাকাবাসী।
সর্বস্তরের ধর্মপারায়ণ মুসলমাদের উপস্থিতিতে কাগতিয়া দরবার শরীফ-সহ আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। কোথাও তিল পরিমান ঠাঁই ছিলো না। মাহফিল রূপ নেয় মুসল্লিদের জনস্রোতে। এ উপলক্ষে গৃহিত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল, বাদে- যোহর হযরত গাউছুল আজম (রা) এর রওজা পাক জিয়ারত, মিলাদ-কিয়াম ,মোনাজাত, খতমে কোরআন শরীফ ও শবে বরাত শীর্ষক আলোচনা, বাদে নামাজে আছর- খতমে শেফা, খতমে খাজেগান।
বাদে নামাজে মাগরিব- ফাতেহা শরীফ আদায় ও ইছালে ছওয়াব, মোরাকাবা, হযরত গাউছুল আজম (রা) এর রওজা পাক জিয়ারত, মিলাদ-কিয়াম, জিকিরে মোর্শেদী মাহফিল, ওলামায়ে কেরামের তকরীর ও তাবারুক বিতরণ। মাহফিল সোমবার বাদে ফজর আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
Advertisement
এমআরএম