শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতির কোনো খোঁজ মিলছে না। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার জামাতা। শেখ সেলিমের মেয়ে-জামাই ও নাতি ওই সময় একটি রেস্টুরেন্টে খাচ্ছিলেন। ওই সময় ইস্টার সানডের প্রার্থনার মধ্যে গির্জা ও হোটেল মিলিয়ে আটটি স্থানে বোমা হামলায় রোববার রক্তাক্ত হয় রাজধানী কলম্বো।
Advertisement
নাতির মৃত্যু ও জামাতা আহত হওয়ার বিষয়ে পরিবারের কেউ কেউ স্বীকার করলেও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম রাত সোয়া ১টায় জাগো নিউজকে বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার ঘটনার বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু পাইনি। সে কারণে কিছু বলতে পারছি না। পেলে অবশ্যই আপনাদের জানাব।’
বিস্ফোরণে মেয়ে-জামাই আহত হন এবং এখন পর্যন্ত নাতির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। জায়ানের বাবা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স আহত হয়ে কলম্বোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাংসদ শেখ সেলিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই।
উল্লেখ্য, দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় গীর্জা এবং বিলাসবহুল হোটেল ও অন্যান্য স্থাপনায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বেড়ে ২০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার সকালের দিকের এই সিরিজ হামলায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৪৫০ জন।
Advertisement
হামলার কয়েক ঘণ্টা পর দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে নিহতের সংখ্যা ১৯০ জন বলে জানায়। কিন্তু সরকারের এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পর দেশটির পুলিশ বলছে, রাজধানী কলম্বোজুড়ে সিরিজ বোমা হামলায় ২০৭ জন নিহত ও আরো ৪৫০ জন আহত হয়েছেন।
ইস্টার সানডের সকালে কলম্বোর বিলাসবহুল সিনামুন গ্রান্ড, শাঙ্গরি-লা ও কিনসবুরি হোটেল ও কলম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি গীর্জা, নেগোমবোর সেন্ট সেবাস্তিয়ান গীর্জা ও বাত্তিকালোয়ার জিওন গীর্জায় ওই হামলা হয়।
দেশটির প্রধান এবং প্রসিদ্ধ গীর্জাগুলো ইস্টার সানডের দিনে আক্রান্ত হতে পারে বলে ওই সতর্কবার্তায় জানান তিনি। রোববার সকাল ৮টার দিকে প্রথম বিস্ফোরণের খবর আসে। সময় যত গড়িয়ে যাচ্ছে নিহতের সংখ্যা ততই লাফিয়ে বাড়ছে। দেশটির ইতিহাসে এই হামলাকে কালো অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
বোমা হামলায় হতাহতের ঘটনায় দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পুরো দেশে কারফিউ বলবৎ থাকবে। আগামী সোম ও মঙ্গলবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
Advertisement
এফএইচ/এইউএ/এমআরএম