রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ জেতার মিশনে নেমে অল্পের জন্য হেরেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের মারকুটে অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। ব্যাঙ্গালুরুর করা ২১৩ রানের জবাবে কলকাতা থামে ২০৩ রানে, ছয় নম্বরে নেমে মাত্র ২৫ বলে ৬৫ রান করেন রাসেল।
Advertisement
ম্যাচ শেষে রাসেলের কণ্ঠে শোনা যায় মাত্র ১ ওভারের আক্ষেপ, দাবী করেন ব্যাটিং অর্ডারে ছয়-সাতের বদলে ৪ নম্বরে নামার। কিন্তু আজ পরের ম্যাচে রাসেলের সে দাবী মানলো না কলকাতা। ফলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচে তাদের সংগ্রহটাও হয়নি ১৫৯ রানের বেশি। যা কিনা আইপিএলের মারকাটারি ক্রিকেটের বিচারে খুব বেশি নয়।
নিজেদের সবশেষ চারটি ম্যাচেই পরাজিত হয়েছে কলকাতা এবং হায়দরাবাদ। আজ রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে তাই অন্তত এক দল পেতে যাচ্ছে জয় নামক সোনার হরিণের দেখা। সে লক্ষ্যে হায়দরাবাদকে করতে হবে ১৬০ রান।
ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় হায়দরাবাদ। টানা অষ্টম ম্যাচে একাদশের বাইরেই থাকেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তাকে ছাড়া খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি হায়দরাবাদ।
Advertisement
উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ১৬ বলে ৪২ রান যোগ করেন ক্রিস লিন এবং সুনিল নারিন। তবে মাত্র ৮ বলে ২৫ রান করে নারিন আউট হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ নেয় হায়দরাবাদ। লিনও ঢুকে যান খোলসে। ইনিংসের ১৭তম ওভারের শেষ বল পর্যন্ত খেললেও ধীর ব্যাটিংয়ে ৪৭ বলে করেন ৫১ রান।
আন্দ্রে রাসেল প্রমোশন চেয়ে চার নম্বরে ব্যাট করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও চারে ব্যাট করতে আসেন আগের ম্যাচে ৮৫ রান করা নিতীশ রানা। খেলেন ১১ বলে ১১ রানের ইনিংস। রাসেলকে চার নম্বরে তো নামায়ইনি কলকাতা। উল্টো ‘ডিমোশন’ দিয়ে পাঠিয়ে দেয় সাত নম্বরে।
আগের ম্যাচে রাসেল যেখানে নেমেছিলেন অর্থাৎ ছয়ে নেমে ২৫ বলে ৩০ রান করেন রিঙ্কু সিং। ইনিংসের ১৮তম ওভারে সাত নম্বরে নামলেও ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন রাসেল। ভুবনেশ্বর কুমারকে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি আউট হন ৯ বলে ১৫ রান করে।
শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৯ রানে গিয়ে থামে কলকাতার ইনিংস। হায়দরাবাদের পক্ষে বল হাতে রশিদ খান ১টি, ভুবনেশ্বর কুমার ২টি এবং খলিল আহমেদ নেন ৩টি উইকেট।
Advertisement
এসএএস/পিআর