জাতীয়

ইসিকে শক্তিশালী করতে যা দরকার তা করেছি

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রেখে শক্তিশালী করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন করে চলেছি। এ জন্যই আমরা চাই যে, গণতান্ত্রিক যে সব রীতিনীতি, বিধানবলী এবং গণতান্ত্রিক যে সব সংস্কার প্রয়োজন সেই সঙ্গে গণতান্ত্রিক যে সব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোরও শক্তিশালীকরণ প্রয়োজন। এ জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বাত্মকভাবে সবসময় প্রস্তুত আছে।’

Advertisement

রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়ার পর প্রেসবিফ্রিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের হিসাব অনুযায়ী এ নির্বাচনে ব্যয় হয়েছে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা। আর আয় হয়েছে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা।

এ সময় আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে দাখিল করেছি। আইনী বিধান মোতাবেক দলের মনোনীত অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা তাদের খরচের হিসাব আলাদাভাবে ইতোমধ্যে স্ব স্ব রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিল করেছেন।’

সাংবাদিকরা আয়-ব্যয়ের হিসাব জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি এখন নির্বাচন কমিশনের সম্পত্তি। এখন নির্বাচন কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার খরচের পরিমাণ কম। আগে প্রতিদ্বন্দ্বীদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছিল কিন্তু এবার সেটি দেয়া হয়নি। এবার আমাদের ব্যয় কম। এবার আমরা আয় করেছি বেশি।’

Advertisement

উপজেলা নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, প্রশাসন এবং পুলিশ এরা কোনোভাবেই কোনো প্রভাব খাটাবে না। এরা প্রচারণা চালাতে পারবেন না।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসন ও পুলিশ একেবারে নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীনভাবে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করেছেন।’

অনেক সংসদ সসদ্য নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে ভোট চেয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কিনা- জানতে চাইলে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘দলের অনেকের কাছে হয়তো এ জন্য ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের সব আয়-ব্যয়ের হিসাব অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে আমরা সম্পন্ন করে থাকি।’

Advertisement

এ সময় দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবীর কাউছার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বিধি অনুযায়ী গত ৩১ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব দেয়ার কথা ছিল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলগুলোর। কিন্তু কোনো দলই হিসাব জমা দেয়নি। পরে ইসি চিঠি দিয়ে তাদের ৩০ দিনের মধ্যে হিসাব জমা দেয়ার জন্য বলে। এরপর আজ আওয়ামী লীগের হিসাব জমা দেয়া হলো।

এইচএস/এনডিএস/এমএস