বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার আলোচিত জামাল হোসেন খান (৩২) হত্যা মামলার আসামি আজিম সরদারের বাড়ি থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তার ঘরের পাশ থেকে পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বুধবার সকালে বানারীপাড়া থানায় পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, ২৯ আগস্ট জামাল খান হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আজিম সরদারকে রাঙামাটির নানিয়ার চর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রিমান্ডে এনে অভিযানে বের হলে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।এর আগে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জামাল হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত সোমবার রাতে পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের ইউসুফ খানের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় ইউপি সদস্য দুলালকে। ওসি আরো জানান, এ ঘটনার মূল নায়ক চুয়াডাঙার বিজিবি সদস্য ও বানারীপাড়ার মাদারকাঠী গ্রামের বাসিন্দা সোয়েবকে গ্রেফতারে বরিশাল পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামান তার কর্মস্থলে বিজিবির সিও লে. কর্নেল মনিরুজ্জামানের কাছে ৪ দফা চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠি পাঠানোর পরও বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের নিয়ম কানুনের কারণে সোয়েবকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানান মামলার এ তদন্ত কর্মকর্তা।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত জামাল খানের স্ত্রী তানিয়ার অভিযোগ সোয়েবের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দুবাই প্রবাসী বারেক হাওলাদারের স্ত্রী তানিয়া বেগমের পরকীয়া প্রেম চলে আসছিল। জামাল বাধা দেয়ায় সোয়েব ছুটিতে বাড়ি এসে তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।উল্লেখ্য, ১৭ জুন উপজেলার চাখার বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন খাল থেকে জামাল খানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জামালের ভাই কালাম খান বাদি হয়ে ১৮ জুন হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মাদারকাঠী গ্রামের বিজিবি সদস্য সোয়েবের মা জয়নব বিবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রিমান্ডে জয়নব বিবির দেয়া তথ্য অনুযায়ী জামাল হত্যার সঙ্গে জড়িত আজিম এবং দুলালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাইফ আমীন/এসএস/এমএস
Advertisement