আন্তর্জাতিক

সর্বোচ্চ হতাহতের লক্ষ্যে ইস্টার সানডেতে হামলা শ্রীলঙ্কায়

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোসহ দেশটির অন্তত ছয়টি স্থানের তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৫৭ জন নিহত হয়েছেন। বিবিসি বলছে, সর্বোচ্চসংখ্যক হতাহতের জন্য ইস্টার সানডের মতো একটি উৎসবের দিনকে বেছে নিয়েছে হামলাকারীরা।

Advertisement

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হামলার জন্য এমন সময় ও শ্রীলঙ্কাকে লক্ষ্যবন্তু হিসেবে বেছে নেয়ার ব্যাপারটি খুবই পরিকল্পিত। কেননা হামলাকারীরা চেয়েছিল যাতে সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষ হতাহত হয়।

ইস্টার সানডে উপলক্ষ্যে শ্রীলঙ্কার গির্জাগুলো ছিল মানুষে পূর্ণ। তামিল সংখ্যাগরিষ্ঠ বাট্টিকালোয়া প্রদেশে একটি গির্জায় হামলা হয়েছে। স্থানীয় একজন চিকিৎসক বিবিসিকে বলেন, সেখানকার হামলায় ২৭ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত আরও অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আরও পড়ুন>> শ্রীলঙ্কায় ছয় বিস্ফোরণে নিহত ১৫৬

Advertisement

২০১৯ সালে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর শ্রীলঙ্কার সার্বিক পরিস্থিতি বেশ শান্ত ছিল। সে সময় তামিল টাইগার বিদ্রোহীরা হেরে যায়। দেশটির মাত্র সাত শতাংশ মানুষ খ্রিস্টান ধর্মালম্বী। শ্রীলঙ্কায় জাতিগত বিদ্বেষ থাকলেও এই প্রথম একযোগে এতগুলো গির্জায় হামলা হলো।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে পুলিশ জানিয়েছে, ইস্টার সানডের অনুষ্ঠান চলাকালীন রাজধানী কলম্বোর অভ্যন্তরে তিনটি অভিজাত হোটেল ও একটি গির্জায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বাকি দুটি গির্জার একটি রাজধানীর অদূরে অন্যটি পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে বাট্টিকালোয়াতে।

ভয়াবহ এই বোমা হামলার পর প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা এক বিবৃতির মাধ্যমে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী এই বোমা হামলার তদন্ত শুরু করেছে। তাছাড়া জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে।

এসএ

Advertisement