প্রথম তিন ওভারের স্পেল। রান দিলেন ৩১টি। বাউন্ডারি খেলেন ৬টি আর ডট বল দিতে পেরেছেন ৬টি। পরের স্পেলে বল করলেন ২ ওভার। রান দিলেন আরও ২৬টি। এই স্পেলে ২টি ওয়াইডের সঙ্গে নো বল দিলেন ১টি। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা হজম করলেন ১টি এবং ডট বল দিতে পেরেছেন কেবল ২টি।
Advertisement
তবে এই স্পেলে উইকেটও নিয়েছেন ২টি। সব মিলিয়ে ৫ ওভারে তাসকিনের কোনো মেডেন নেই। সর্বমোট রান দিয়েছেন ৫৭টি, উইকেট নিতে পেরেছেন ২টি। ৮টি বাউন্ডারি, ১টি ছক্কা, ২টি ওয়াইড, ১টি নো এবং ডট বল দিয়েছেন মোট ৮টি। ইকনোমি রেট ১১.৪০ করে।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদের চেয়ে রান দেয়ার রেট তথা ইকনোমি রেট বেশি মুমিনুল হকের। ১৪.০০। যদিও তিনি বল করেছেন কেবল ১ ওভার। বাকি ৬ বোলারদের সবাই কমপক্ষে ৫ ওভার বল করেছেন। এর মধ্যে ১০ ওভার তিনজন, ৫ ওভার করে ২জন এবং একজন করেছেন ৯ ওভার।
বিকেএসপিতে আবাহনীর বিপক্ষে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বোলারদের সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যানের সঙ্গে আলাদাভাবে তাসকিনের বোলিং পরিসংখ্যান।
Advertisement
অথচ, দু’দিন আগে সাভারের এই মাঠেই প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে বল হাতে ঝড় তুলেছিলেন তাসকিন। ওই ম্যাচে ৯ ওভার বল করে ৫৪ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। রান দেয়ার গড় তথা ইকনোমি রেট ছিল ৬.০০ করে। অথচ, দুইদিন পর একই মাঠে আবাহনীর সামনে পুরোপুরি বিধ্বস্তরূপে ধরা দিলেন বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়া এই পেসার।
আবাহনীর বিপক্ষে রূপগঞ্জের হয়ে সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন ভারতীয় ঋশি ধাওয়ান। ১০ ওভারে তিনি দেন ৮১ রান। ইকনোমি রেট ৮.১০ করে। উইকেট নেন ১টি। শুভাশিস রায় দেন ৭৪ রান। ৭.৪০ করে ইকনোমি। উইকেট ১টি।
মোহাম্মদ শহীদ ৯ ওভারে ৬২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ইকনোমি রেট ৬.৮৮। বোলারদের এই ধ্বংসস্তুপের মাঝে একজন ছিলেন কিছুটা ব্যাতিক্রম। বাঁ-হাতি স্পিনার নাবিল সামাদ। ১০ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। ইকনোমি রেট ৪.৮০ করে।
এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement