মতামত

মুক্তির রাত পবিত্র শবে বরাত

আজ পবিত্র শবে বরাত। মহিমান্বিত এই রাতকে সৌভাগ্যের রাত বা মুক্তির রাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ রাতের গুরুত্ব সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে পরবর্তী বছরের হায়াত, মউত, রিজিক, দৌলত আমল ইত্যাদির আদেশ নিষেধ এ রাতেই ফয়সালা করা হয়।

Advertisement

পবিত্র শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাতকে পবিত্র কোরআনে ‘লাইলাতুল মোবারাকা’ বা বরকতময় রাত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলমানরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত প্রভৃতি ইবাদাত বন্দেগির মধ্য দিয়ে এ রাত অতিবাহিত করবেন।

মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসুক বরকতময় এ রাত- আমাদের প্রত্যাশা এমনই। আজ রাতব্যাপী ইবাদত বন্দেগিতে মানুষ দুঃখ, বঞ্চনা, অপ্রাপ্তি, ব্যথা বেদনা থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনায়রত হবে। নিজেদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে শুভচিন্তা ও সৎকর্মের আদর্শ গ্রহণের মাধ্যমে নতুন এক জীবন লাভ করবে মানুষ।

রমজান মাসের আগের মাস শাবান। রমজানের সিয়াম সাধনার প্রস্তুতির মাস হিসেবে শাবান মাসকেও বরকতময় মাস হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। শবে বরাতে যারা আল্লাহর নিকট রহমত, বরকত প্রার্থনা করে ক্ষমা চান তারা তা লাভ করেন। মহান আল্লাহ চান মানুষ পাপ-তাপ থেকে মুক্তি লাভ করে সুখ-সমৃদ্ধি অর্জন করুক। মানুষ সৌভাগ্য লাভ করুক।

Advertisement

এই রাতের অন্যতম করণীয় হচ্ছে সব ধরনের আড়ম্বর পরিহার করে একান্তে ও নীরবে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য ইবাদত করা। বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় রাত জেগে নফল নামাজ আদায়, জিকির-আজকার, কোরআন তেলাওয়াত ও তওবা ইস্তেগফারের মধ্য দিয়ে বরকত লাভের জন্য মশগুল থাকে।

এ রাতে মুমিনদের প্রতি আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করা হয় মানুষের আমলনামা। নির্ধারিত হয় আগামী এক বছরের রিজিকসহ সবকিছু। শুধু ব্যক্তি জীবনে নয় রাষ্ট্রীয় ও সমাজ জীবনেও সবকিছু শুভ ও সুন্দর হোক-শবে বরাতের প্রার্থনা এটি। মানুষ মানুষের জন্য এই শুভবোধ জেগে উঠুক। সবার জীবন সুন্দর ও কল্যাণময় হোক- এটাই হোক আজকের রাতের বিশেষ প্রার্থনা।

এইচআর/জেআইএম

Advertisement