বাগেরহাটের রামপাল ও ফকিরহাটে দুই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় এক মাদরাসা অধ্যক্ষসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Advertisement
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় ছাত্রী নিবাসে থাকা তৃতীয় শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন শিশুটির মামা। মামলায় ধর্ষক মুদি দোকানী ফেরদাউস মোল্লা (১৯), ধর্ষণের ঘটনা ধাপাচাপা দেয়ার চেষ্টার অপরাধে রামপাল সরাফপুর কারামতিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ শেখ ওয়ালিউর রহমান ও মহিলা হোস্টেল সুপারসহ ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে রামপাল উপজেলার শরাফপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মুদি দোকানি ফেরদাউস মোল্লা ও রাতে অভিযান চালিয়ে মাদরাসা অধ্যক্ষ শেখ ওয়ালিউর রহমানকে আটক করে।
ধর্ষক ফেরদাউস শরাফপুর গ্রামের মোল্লা লুৎফর রহমানের ছেলে। তার শরাফপুর কারামতিয়া ফাজিল মাদরাসার সামনে মুদি দোকান ছিল।
Advertisement
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। রাতে তার নেতৃত্বে বাগেরহাট গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মাদরাসা অধ্যক্ষকে আটক করে। বাকিদের আটকের জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে বলে তিনি জানান।
রামপাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান জানান, শরাফপুর কারামতিয়া ফাজিল মাদরাসার সামনে দোকান দেয়ার সুবাদে ওই মাদরাসার হোস্টেলে থাকা এক ছাত্রীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে ফেরদাউস মোল্লা। গত ১১ এপ্রিল রাতে তাকে ফুসলিয়ে দোকনে নিয়ে ধর্ষণ করে।
অপরদিকে বাগেরহাটের ফকিরহাটে ৩ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে আরমান শেখ (১৬) নামে একজনকে পুলিশ আটক করেছে। আরমান উপজেলার বাহিরদিয়া গ্রামের হাবি শেখের ছেলে।
শিশুটির বাবা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে চকলেট দেয়ার প্রলোভন দিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে আরমান। পরে মেয়েটি অসুস্থবোধ করলে তাকে তার মা ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
Advertisement
ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু জাহিদ শেখ বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে আটক করা হয়েছে।
শওকত আলী বাবু/এফএ/জেআইএম