ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের ঢোলজানি গ্রামে দুবাই প্রবাসী সবুর কাজীর পরিবার দুই বছর যাবত সমাজচ্যুত রয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিাতির সৃষ্টি হয়েছে।জানা গেছে, প্রভাবশালীদের ভয়ে প্রতিবেশীরা কেউ ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মেশার সাহস পাচ্ছেন না। এমনকি প্রতিদিন সকালে প্রবাসীর মেয়ে মসজিদে কোরআন শেখার জন্য গেলেও সেখানেও বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগ রয়েছে।মামলা সূত্রে জানা গেছে, সবুর কাজী দীর্ঘদিন যাবত দুবাইতে থাকেন। তার স্ত্রী দুই মেয়েকে নিয়ে ঢোলজানি গ্রামে বসবাস করনে। সবুর কাজী বিদেশ থাকার সুযোগ নিয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনয়নের ঢোলজানি গ্রামের সামাদ খলিফার ছেলে জঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. আইয়ুব আলী মিয়া বিভিন্ন সময়ে ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসত। সে প্রস্তাবে রাজী না হলে ২০১৩ সালের ১১ আগস্ট সকালে মো. আইয়ুব আলী মিয়া চুপি চুপি তার বসত বাড়ির রান্না ঘরে ঢুকে তাকে জাপটে ধরে মুখ চেপে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।নিজকে আইয়ুব আলীর হাত থেকে রক্ষার জন্য চিৎকার দিলে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে থাকা রিনা বেগমের বোন ও দুই মেয়ে এগিয়ে আসে। তাদের এগিয়ে আসা দেখে আইয়ুব আলী গৃহবধূর চুলের মুঠি ধরে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করতে থাকে। মারপিটের এক পর্যায়ে লাঠির আঘাতে মাথার ডান পার্শ্বে মারত্মক আঘাত লাগলে ওই অবস্থা দেখে আইয়ুর আলী পালিয়ে যায়। তখন স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় তাকে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদি হয়ে ২০১৩ সালের ১৫ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯ (৪)(খ) তৎসহ ৩২৩/৩২৫ দ.বি. ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই গৃহবধূ জাগো নিউজকে জানান, আইয়ুব আলী তাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাধ্যমে কুপ্রস্তাব দিত। তাতে রাজি না হওয়াতে তাকে আজ সমাজচ্যুত হতে হয়েছে। মামলাটি দায়েরের পর থেকে আসামি পক্ষ ও তাদের লোকজন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। আসামি পক্ষের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। যে কারণে দুই বছর ধরে তাদের সমাজচ্যুত করে রেখেছে। তিনি প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে এর সঠিক বিচারের জন্য অনুরোধ করেন।রুবেলুর রহমান/এসএস
Advertisement