জাতীয়

তিনগুন ভাড়াতেও মিলছে না রিকশা

রাজধানীর মতিঝিলে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন জুনায়েদ আলম। বুধবার বৃষ্টিভেজা সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য মালিবাগ মোড়ে রিকশার জন্য তিনি প্রায় ৪০ মিনিট অপেক্ষা করেন। এরপর তিনগুন ভাড়ায় রিকশাযোগে কর্মস্থলে যেতে সক্ষম হন তিনি।বুধবার সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে জুনায়েদ আলমের মতো রাজধানীবাসীকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ২০ টাকার পথ ক্ষেত্র বিশেষে দিতে হচ্ছে ৬০ টাকা। রাজধানীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে এরকম চিত্র দেখা গেছে।বুধবার সকালে মালিবাগ মোড়ে অপেক্ষারত জুনায়েদ আলমের পাশেই অবস্থান করেছিলেন এই প্রতিবেদক। নিজ কর্মস্থল মতিঝিলে যাওয়ার জন্য রিকশাচালককে নানাভাবে আকুতি করার দৃশ্য দেখেছেন এই প্রতিবেদক।তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, যত টাকাই ভাড়া হউক আমাকে অফিসে যেতে হবে। কিন্তু দেখেন কি দুর্ভিসহ যন্ত্রণায় পড়লাম। সড়কে প্রচণ্ড পানি তাই কেউ যেতে রাজি হচ্ছে না।রাজধানীতে যানবাহন সংকটের চিত্র এখন সর্বত্র। অতিরিক্ত পানি জমে থাকার কারণে সড়কের বেহাল দশাই এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করছেন সংশ্লিষ্টরা।মৌচাক থেকে রামপুরার একজন ভোক্তভোগী যাত্রী এই প্রতিবেদককে বলেন, এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরও কোন রিকশাচালককে ম্যানেজ করতে পারিনি। সবাই বলছেন রাস্তা খারাপ। রিকশা চালান যাইবো না। অনেককে বেশি টাকা অফার করার পরও কাউকে রাজি করাতে পারছি না।এদিকে মগবাজার মোড় থেকে গুলিস্তান যাবেন তরিকুল ইসলাম। সকাল ১০টায় আধাঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও তিনি কোন রিকশা পাননি। একপর্যায়ে দ্বিগুন ভাড়ায় তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারেন তিনি।নুরুল ইসলাম নামের একজন রিকশাচালক এই প্রতিবেদককে জানান, একদিকে রাস্তায় পানি অন্যদিকে রাস্তায় গর্ত। যে কোন সময় দুর্ঘটনায় পড়তে পারি তাই রিকশা না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।এমএম/এআরএস/এমএস

Advertisement