গত ১৭ এপ্রিল জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপিত হয়। দিবসটির সূচনা হয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে।
Advertisement
এরপর মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদসহ ওই সরকারের সব নেতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করা হয়।
এরপর এক আলোচনা সভায় মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য ও ইতিহাস তুলে ধরেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ।
Advertisement
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শপথগ্রহণ করে এ সরকার। আর সেদিন থেকে ওই স্থানটি পরিচিতি পায় মুজিবনগর নামে।
‘মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও আইনগত ভিত্তি স্থাপনে এ সরকারের কোনো বিকল্প ছিল না।’
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে, সরকার ব্যবস্থাপনাও সুচারুরূপে পরিচালনা করে। এমনকি আয়-ব্যয়ের হিসাব পর্যন্ত রেখেছিল। মুজিবনগর সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করে বিশ্ব জনমতকে পক্ষে আনা, যা তারা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করেছিলেন।
তিনি নতুন প্রজন্মের মাঝে মুজিবনগর সরকারের ইতিহাস, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরার আহ্বান জানান।
Advertisement
প্রবাসী বাংলাদেশি এবং মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাংলাদেশে গমনকালে যেন তাদের সন্তানদের এই ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করান সে অনুরোধও জানান স্থায়ী প্রতিনিধি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা ও জাতীয় চার নেতা যে শোষণ, বঞ্চনামুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নে আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যাব। জাতিসংঘের প্রতিটি স্তরে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করব, মুজিবনগর দিবসে এই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা।
মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সভায় বক্তব্য দেন। আলোচনা পর্ব শেষে মুজিবনগর সরকারের প্রয়াত সব সদস্য, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র/জেডএ/জেআইএম