চাঁদপুরের মেঘনায় টাস্কফোর্সের অভিযানে জাটকা শিকারের সময় ৬৩ নৌকা জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পাঁচটি অবৈধ মাছের আড়ত পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর অন্তত ১০টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়। জেলেরা এ সময় পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলার চেষ্টা করলে আত্মরক্ষায় সাত রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়।
জেলেদের নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মাথায় এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গলায় আঘাতপ্রাপ্ত হন।
অভিযানে পদ্মা ও মেঘনা নদীর মিনি কক্সবাজার খ্যাত পর্যটন স্পট, গোয়ালিয়র চর, রাজ রাজেস্বর ইউনিয়নের তীরবর্তী এলাকা, শরীয়তপুর সীমান্ত সংলগ্ন কাটাখালি, সাইলুরের ছাই ফ্যাক্টরি এলাকা, আনন্দবাজার, শহরের টিলাবাড়ি এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময়ে ৬৩টি ইঞ্জিন চালিত মাছ ধরার নৌকা জব্দ করে ব্যবহার অনুপযোগী করা হয়।পাঁচটি মাছের আড়ত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। পৌনে চার লাখ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়। এক মণ জাটকা জব্দ করে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হয় এবং ১৭ জেলেকে আটক করে মোবাইল কোর্টে উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ১৩ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং বাকি চারজনের বয়স বিবেচনায় অর্থদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল ইসলাম।
Advertisement
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জাগো নিউজকে জানান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, চাঁদপুর নৌ-থানার ওসি আবু তাহের, কোস্টগার্ড কমান্ডার আবদুল মালেকের নেতৃত্বে নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌ-বাহিনীর নাবিকরা অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান চলাকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজ রাজেশ্বর ইউনিয়নের কাটাখালি ও সাইলুরের ছাই ফ্যাক্টরির কাছে জেলেরা অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের ছোঁড়া ইট-পাটকেলে টাস্কফোর্সের কয়েকজন আহত হন। এ সময় আত্মরক্ষার্থে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ছয় রাউন্ড রাবার বুলেট এবং এক রাউন্ড ব্ল্যাংক ফায়ার করে।
জেলেরা যতই হামলা করুক, ইলিশ রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে- বলেন তিনি।
ইকরাম চৌধুরী/চাঁদপুর/এমএআর/এনডিএস/এসআর
Advertisement