আন্তর্জাতিক

বিমান হামলায় পাকিস্তানের কেউ নিহত হয়নি : ভারত

কাশ্মীরে পুলওয়ামা হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তানে ঢুকে ভারত যে বিমান হামলা চালায় তাতে কোনো পাকিস্তানি সৈন্য কিংবা সাধারণ মানুষ নিহত হয়নি বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

Advertisement

সুষমা স্বরাজের এমন বক্তব্যের পর সন্তুষ্টি জানিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘শেষ পর্যন্ত সত্যটা উন্মোচিত হলো।’

আত্মরক্ষার্থেই বিমান হামলা করা হয়েছে দাবি করে সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার পর আমরা যখন সীমান্তে বিমান হামলা চালাই তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলেছিলাম, নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এমন পদেক্ষেপ নিয়েছি আমরা।’

আরও পড়ুন>> পাকিস্তানে হামলার প্রমাণ প্রকাশ করা হবে না : ভারত

Advertisement

সুষমা স্বরাজ আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানানো হয়েছে, আমরা সেসময় সামরিক বাহিনীকে এই নির্দেশনা দিয়েছিলাম যে তারা যখন হামলা চালাবে তখন যেন পাকিস্তানি নাগরিক এবং তাদের সেনাদের কোনো ক্ষতি না হয়। হামলার লক্ষ্য যেন হয় শুধু জইশ-ঈ-মোহাম্মদের ঘাঁটি।’

সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘আমাদের বাহিনী সেই নির্দেশনা মতোই হামলা চালিয়েছে। আর তাতে পাকিস্তানের কোনো সৈন্য কিংবা সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়নি।’ জইশ মোহাম্মদ যে পুলওয়ামায় হামলা চালিয়েছিল তারও উল্লেখ করেন তিনি।

মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেছেন, তিনি আশা করেন ভারত সেই হামলায় সফল হয়েছে বলে যে মিথ্যা দাবি করেছিল তার বিপরীতে যে সত্যটা আছে তা খুব শিগগিরই উন্মোচিত হবে। পাকিস্তানের দুটি বিমান ভূপাতিত করার ভারতীয় দাবিকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেন তিনি।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরে সিআরপিএফ এর গাড়িবহরে জঙ্গি হামলায় ৪০ জওয়ানের প্রাণহানি ঘটে। পরে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে যুদ্ধবিমান থেকে অভিযান চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী। পরদিন দুই দেশের আকাশসীমায় পাল্টাপাল্টি যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে।

Advertisement

পাকিস্তান ভারতীয় বিমানবাহিনীর দু’টি বিমান ভূপাতিত এবং একজন পাইলটকে আটকের দাবি জানায়। পাকিস্তানের বালাকোটের সেই বিমান হামলায় অন্তত ২৫০ থেকে ৩০০ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করে ভারত।

No Pakistan soldier or citizen died in Balakot air strike: Sushma Swaraj https://t.co/FuCW7aoSps pic.twitter.com/rg4eAQW62T

— Times of India (@timesofindia) April 18, 2019

এসএ/এমকেএইচ