লাইফস্টাইল

টনসিলের সমস্যা দূর করবেন যেভাবে

আমাদের মুখ হা করলে গলার ভেতরে ডান ও বাঁ দিকে ছোট্ট বলের মতো যা দেখা যায় তার নাম টনসিল। ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে যখন টনসিল ফুলে যায়, তখন তাকে টনসিলের প্রদাহ বলে। টনসিল সমস্যা সাধারণত ১০ বছরের নিচের বাচ্চাদের বেশি হয় ।লক্ষণ :১. গলাব্যথা ও খুসখুসে কাশি হওয়া।২. খাবার গিলতে, পানি পান করতে ব্যথা পাওয়া।৩. জ্বর।৪. কানে ব্যথা ও নাক দিয়ে পানি ঝরা।৫. টনসিল বেশ লালচে বর্ণ ধারণ করে।৬. টনসিলের ওপর হলুদ বা সাদা আস্তরণ পড়তে পারে।৭. গলার ভেতর ও এর আশপাশের অন্যান্য লসিকাগ্রন্থিও ফুলে যায়।৮. মুখে দুর্গন্ধ হয়।৯. মাথাব্যথা হয়।১০. গলার স্বর পরিবর্তিত হয়।১১. খাবার খেতে ইচ্ছা করে না।কী করবেন :১. ঠান্ডা তরল পান করুন। আইসক্রিম চুষে খান।২. কুসুম গরম পানি পান করুন ও কুসুম গরম পানি দিয়ে বারবার গার্গল করুন।৩. বেনজোকাইন জাতীয় লজেন্স চুষে খান।কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে :১. মুখ দিয়ে লালা ঝরলে।২. জ্বর ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হলে।৩. খাবার বা পানীয় গিলতে অসুবিধা হলে।৪. গলায় ফুলে ওঠা লিম্ফগ্রন্থিতে অনেক ব্যথা হলে।চিকিৎসা :১. টনসিলের চিকিৎসা নির্ভর করে কারণের ওপর। যদি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়, তাহলে রোগীকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে।২. ভাইরাসের জন্য হলে পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে এমনিতেই সেরে যায়। সে ক্ষেত্রে উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়।৩. চিকিৎসার পর উপসর্গ চলে গেলেও টনসিলের আকৃতি ছোট হতে কিছুটা সময় নেয়। কয়েক মাস পর্যন্ত টনসিল বাড়তি আকৃতিতেও থাকতে পারে।৪. টনসিলাইটিস হলে বেশি বেশি তরল খাবার ও গরম পানীয় পান করতে হবে। শিশুদের গরম স্যুপ, জাউ বা নরম করে রান্না করা খাবার দিলে ভালো। এইচএন/এমএস

Advertisement