রাজনীতি

রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় ধর্ষকরা আজ বেপরোয়া

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ধর্ষক-নিপীড়কদের ক্ষমতার শিকড় যত গভীরই হোক তা উপড়ে ফেলতে হবে। নুসরাতের খুনি ও সহযোগীদের হাত যত লম্বাই হোক তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধর্ষক, লম্পট আর নিপীড়কদের লীলাভূমি হতে পারে না। অনেক ধর্ষক-নিপীড়কদের পেছনে রাজনৈতিক-প্রশাসনিক ছত্রচ্ছায়া থাকার কারণে ধর্ষকেরা আজ বেপরোয়া। শুক্রবার জাতীয় প্রেস কাবের সামনে শ্রমজীবী নারী মৈত্রী আয়োজিত ধর্ষণ-নিপীড়নবিরোধী মানববন্ধন-সমাবেশে সংহতি জানিয়ে সাইফুল হক এসব কথা বলেন।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিচার ধর্ষকদের স্পর্শ করতে পারে না। বিচারহীনতা ধর্ষণ-অনাচার কেবল বাড়িয়েই তুলছে, প্রকারান্তরে তারা উৎসাহ পাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অনাচার-অপশাসন সামাজিক অনাচারের রাস্তা আরও বাড়িয়ে দেয়।’

ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন রোধে ২০০৯ ও ২০১১ সালে উচ্চ আদালত প্রদত্ত নির্দেশনার বাস্তব কোনো কার্যকারিতা নেই বলে জানান সাইফুল হক। তিনি নারী ও শিশু ধর্ষণ, বলাৎকার, নিপীড়ন বন্ধে আইনের নিরপেক্ষ কঠোর প্রয়োগ, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা কার্যকরী করা এবং সামাজিক প্রতিরোধ জোরদার করার আহ্বান জানান।

Advertisement

শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক রাশিদা বেগম, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শম্পা বসু, ছাত্র ঐক্য ফোরামের আর্নিকা তাসমিন মিতু, বিপ্লবী ছাত্র সংহতির তিথি সুবর্ণা, মানবাধিকার সংগঠক সোহেলী পারভীন, রেখা আকতার, জাকিয়া আহমেদ, যুবনেত্রী নাজমা পারভিন। সংহতি বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আকবর খান, মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম সবুজ।

এফএইচএস/এসআর/পিআর