বগুড়ায় বিএনপি নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী মাহবুব আলম শাহীন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার দুই আসামির মধ্যে একজন পায়েল সেখ ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বগুড়ার সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিল্লাল হোসেনের কাছে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পায়েল এ জবানবন্দি দেন।
Advertisement
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, পায়েল ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
বগুড়া পুলিশের আদালত পরির্দশক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) আবুল কালাম আজাদ জানান, গ্রেফতার দুই আসামির মধ্যে পায়েল সেখ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। অন্য আসামি রাসেলকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তিনি বলেন, ওই দুই আসামিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে বিচারক বিল্লাল হোসেন তাকে ৫ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন এবং পায়েলের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। ১৪ এপ্রিল রোববার রাতে বগুড়া শহরের উপ-শহর বাজারে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীন। নিহত শাহীনের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী ১৬ এপ্রিল বিকেলে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেছেন। এতে বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র আমিনুল ইসলামসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়।ওই হত্যকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ বুধবার ভোরে প্রথমে শহর নিশিন্দারা মধ্যপাড়া এলাকা থেকে রাসেলকে গ্রেফতার করে। সে ওই এলাকার আবু তাহেরের ছেলে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জেলার গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের আমলিচুকাই গ্রামে পায়েল সেখকে গ্রেফতার করা হয়। পায়েল নিশিন্দারা মন্ডলপাড়ার মৃত কালু সেখের ছেলে।
বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই দুই আসামিকে গ্রেফতারের কথা জানান। তিনি বলেন, জেলা মোটর মালিক গ্রুপের নেতৃত্ব নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে কমপক্ষে ১০ জন অংশ নিয়েছে।
Advertisement
এমএএস/এমকেএইচ