তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার এমন কোনো বেকায়দায় পড়েনি যে খালেদা জিয়াকে জোর করে প্যারোলে মুক্তি দিতে হবে। তিনি (খালেদা জিয়া) যদি প্যারোল চান তবে সরকার ভেবে দেখতে পারে। না চাইলে কাউকে কোনোদিন প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয় না।
Advertisement
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় আয়োজিত 'রূপসী বাংলা জাতীয় ফটো প্রদর্শনী, প্রতিযোগিতা ও সম্মাননা প্রদান’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম। এছাড়া শিল্পকলা একাডেমির সচিব ড. কাজী আসাদুজ্জামান, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে তিন প্রবীণ ফটোসাংবাদিককে মরণোত্তর সম্মাননা দেয়া হয়। ফটোসাংবাদিক এস এম মোজাম্মিল হোসেনের পক্ষে তার ছেলে এস এম জাবিদ হোসেন, মোশারফ হোসেনের পক্ষে তার ছেলে এস এম গোর্কি ও আলহাজ জহিরুল হকের পক্ষে তার ছেলে হাসিব জহির সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।
Advertisement
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণ বিএনপির যে কয়জনকে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন তাদের উচিৎ শপথ নেয়া। শপথ না নিলে জনগণকে অবজ্ঞা করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির নেতারা বিভিন্ন সভা সমাবেশে নিজেরাই নিজেদের সম্পর্কে বিষোদগার করছেন।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের চারধাপ অবনতি হয়েছে এমন রিপোর্ট প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এগুলো ইনডিপেনডেন্ট। তারা নিজেদের মতো করে রিপোর্ট দেয়। অন্য একটি প্রতিষ্ঠান হয়তো জরিপ করে বলবে চারধাপ উন্নতি হয়েছে।
নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সুযোগ করে দেয়া হয়েছে বলেই দেশে গণমাধ্যমের বিস্তৃতি বেড়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, ছবি কথা বলে। ছবি ইতিহাস হয়ে থাকে। স্বাধীনতা যুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনের ছবি দেখলেই মানুষ ইতিহাস বলে দিতে পারে। গণমাধ্যম ও ক্যামেরা যেন সব সময় মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকে।
দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, একটি ছবি একটি বিপ্লব ঘটাতে পারে। অনেক আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে। প্রতিটি ছবি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, যারা আমাদের অগ্রজ, যারা আজ বেঁচে নেই তাদের মূল্যয়ন করতে হবে। তাহলে যারা মাঠে কাজ করছেন তারাও একদিন মূল্যায়িত হবেন।
এফএইচএস/এএইচ/এমএস