জামালপুরের বকশীগঞ্জে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরিফুর রহমানকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে আটক করা হয়।
Advertisement
এর আগে দুপুরে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও তার অপসারণ দাবিতে বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলের পর বিকেলে ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন শ্রীবরদী উপজেলার আরিফুর রহমান। এখানে যোগদানের পর থেকেই তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানো শুরু করেন। স্থানীয় মাঝ গেদরা গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে এবং ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী তার কাছে প্রাইভেট পড়া শুরু করে। ওই ছাত্রীকে প্রাইভেট পাড়ানোর একপর্যায়ে বিভিন্ন আপত্তিকর কথাবার্তা বলেন শিক্ষক আরিফুর রহমান। সেই সঙ্গে প্রেমের প্রস্তাবও দেয়া হয় তাকে। মাঝে মধ্যে ওই শিক্ষক ছাত্রীকে ব্যক্তিগত কক্ষেও যেতে বলেন। গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরণের অশালীন ভাষা ব্যবহার করে এসএমএস পাঠান তিনি।
এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। শিক্ষকের এ ধরণের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় ঘেরাও করে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে। একপর্যায়ে শিক্ষক আরিফুর রহমানের অপসারণের দাবিতে বিদ্যালয়ের মাঠে বিক্ষোভ মিছিল করে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরহাদ হোসেন বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দিলে তারা শান্ত হয়। খবর পেয়ে বিকেলে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি একেএম মাহবুব আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর অভিযুক্ত শিক্ষক আরিফুর রহমানকে আটক করা হয়।
বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি একেএম মাহবুব আলম জানান, ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক আরিফুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আসমাউল আসিফ/আরএআর/এমএস
Advertisement