নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর বহু বিতর্কে বিতর্কিত আব্দুল করিম বাবু ওরফে ডিস বাবুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে পাইকপাড়া নিজ অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
Advertisement
গ্রেফতার আব্দুল করিম বাবু ওরফে ডিস বাবু নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং একজন ডিস ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে বন্দর উপজেলার আরেক ডিস ব্যবসায়ী হাসান বাদী হয়ে বন্দর থানায় ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে মামলা করেন।
বন্দর থানা পুলিশের ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ডিস বাবুর বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। এ মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় হস্তান্তর করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ডিস ব্যবসায়ী হাসানের নিয়ন্ত্রণাধীন বন্দর সোনাকান্দা থেকে আলীনগর অঞ্চলের কয়েক লাখ টাকার ডিস ক্যাবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি কেটে নিয়ে যায় বাবুর লোক হিসেবে পরিচিত সজীব। এতে ২ হাজারের ওপর গ্রাহক ডিস লাইন থেকে বঞ্চিত কয়েকদিন ধরে। এ ঘটনায় কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু হাসানের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় ডিস ব্যবসা করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেন।
Advertisement
এ ঘটনায় হাসান বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এতেও কোনো কাজ হচ্ছিল না। উল্টো সোনাকান্দা, আলীনগর এলাকায় বাবু তার বাহিনীর মাধ্যমে নদীর তলদেশ দিয়ে ডিস লাইন সংযোগ স্থাপনের কাজ শুরু করেন।
এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরাবর আরেকটি লিখিত অভিযোগ দেন। সেখানে তিনি ডিস বাবুর নানা অপকর্ম তুলে ধরেন। একই সঙ্গে বাবুর এমন অপকর্ম উত্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন করেন হাসান।
এছাড়া কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু ওরফে ডিস বাবুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জোরপূর্বক দলীয় প্রভাব বিস্তার করে শহর ও শহরতলির ডিস ব্যবসা একচ্ছত্র আধিপত্য ধরে রেখেছে। তাকে চাঁদা না দিয়ে কেউ কোথাও ডিস ব্যবসা করতে পারেন না। মূলত তিনি এমপি শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। এই প্রভাবেই সর্বত্র প্রভাব বিস্তার করেন তিনি। নিজেরও রয়েছে একটি বাহিনী।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে সব থেকে আলোচিত ও সমালোচিত কউন্সিলর ছিলেন নূর হোসেন। তিনি এখন ৭ খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তারপরই ২০১৬ সালের সিটি নির্বাচনে এই ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে সর্বাধিক সমালোচিত কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু।
Advertisement
মো. শাহাদাত হোসেন/এএম/পিআর