খেলাধুলা

সাত গোলের থ্রিলারে হেরেও সিটিকে পেছনে ফেলে সেমিতে টটেনহাম

কি এক ম্যাচ হলো! চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে এমন একটি লড়াই, যার পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিল উত্তেজনা। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ঘরের মাঠের ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ৪-৩ গোলে হেরেছে টটেনহাম হটস্পার।

Advertisement

কিন্তু ম্যানসিটি জিতলে কি হবে? লক্ষ্য তো পূরণ হলো না। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-৪। মূল্যবান অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের টিকেট পেয়েছে টটেনহ্যামই। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছিল মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল।

ম্যাচের প্রথম ১১ মিনিটেই হলো ৪ গোল। দুই দলই পেল সমান দুটি করে গোল। ম্যাচের ৪ মিনিটের সময় ম্যানসিটির কেভিন ডি ব্রুইনের পাস থেকে বল পেয়ে বক্সের কর্নার থেকে জোরালো শটে টটেনহাম গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন রহিম স্টার্লিং (১-০)।

তিন মিনিট পরই গোল শোধ করে ফেলে টটেনহাম। সিটির ডিফেন্ডার এমেরিক লাপোর্ত ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল ঠেলে দেন হিউং-মিনের পায়ে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে চোখের পলকে নেয়া তার শট গোলরক্ষক এদেরসনের পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায় (১-১)।

Advertisement

তারও তিন মিনিট পর (১০ম মিনিটে) আরও এক গোল হিউং-মিনের। এবার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসনের কাছ থেকে বক্সের মধ্যেই বল পেয়ে গিয়েছিলেন হিউং-মিন। জায়গায় দাঁড়িয়েই সেটাকে গোলে পরিণত করেন দক্ষিণ কোরিয়ান এই ফরোয়ার্ড (২-১)।

পিছিয়ে পড়া ম্যানসিটি পরের মিনিটেই সমতায় ফেরে। এবার বার্নার্ডো সিলভার পাস থেকে বক্সের ডানদিকে গোলরক্ষকের খুব কাছে বল পেয়ে যান আগুয়েরো। একজন ডিফেন্ডার সেটা আটকাতে আসলেও তার পায়ের নিচ দিয়ে দেয়া বল টটেনহাম গোলরক্ষককে পরাস্ত করে (২-২)।

২১ মিনিটে এসে ম্যানসিটি আবারও এগিয়ে যায়। কেভিন ডি ব্রুইনের ক্রস থেকে আলতো ছোঁয়ায় গোল করেন স্টার্লিং (৩-২)। বিরতিতে যায় দুই দল।

এরপর অনেকটা সময় গোলের দেখা পায়নি ম্যানসিটি আর টটেনহাম। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুই দলের গোলরক্ষকই দুটি নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন।

Advertisement

৫৯ মিনিটে ডি ব্রুইনের কাছ থেকে থ্রো বলে আড়াআড়ি শটে জাল কাঁপান আগুয়েরো (৪-২)। ৭৩ মিনিটে হটস্পারের হয়ে আরও একটি গোল শোধ করেন ফার্নান্দো লরেন্তে। কর্নারের পর কাইরন ট্রিপার হয়ে বল যায় লরেন্তের কাছে, হেডে তিনি সেটা জালে জড়ান (৪-৩)।

এমএমআর/জেআইএম