জাতীয়

বিজিএমইএ ভবন ভাঙার জন্য দরপত্র আহ্বান

তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ভবন ভাঙার জন্য কোটেশন পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ভবনটি ভাঙার পর ব্যবহারযোগ্য মালমাল ক্রয়ে আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে কোটেশন জমা দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

বুধবার রাজউকের সচিব সুশান্ত চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়েছে, আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ২৪ এপ্রিল বিকেল চারটার মধ্যে সীলমোহর করা খামে রাজউক চেয়ারম্যান বরাবর এ বিষয়ে কোটেশন আবেদন করতে পারবে।

শর্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বহুতল ভবন ভাঙার অভিজ্ঞতা সম্পর্কিত কাগজপত্র দাখিল করতে হবে, তিন মাসের মধ্যে ভবন ভেঙে মালামাল অপসারণ করতে হবে, ভবন ভাঙার জন্য কোনো আলাদা অর্থ প্রদান করা হবে না, যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ভবন ভাঙবেন তারাই মালামাল কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করতে পারবেন, মালামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে যারা সর্বোচ্চ মূল্য উল্লেখ করবেন তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে এবং কোটেশন মূল্যের ১০ শতাংশ অর্থ জামানত হিসাবে পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিজিএমইএ ভবন সিলগালা করে দেয় রাজউক। রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী ও হাতিরঝিল প্রকল্প পরিচালক এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস সে সময় বলেন, আমরা ইতোপূর্বে চাইনিজ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সহযোগিতায় কন্ট্রোলড ডিমোলেশিং (নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভবনটি ভাঙা হবে। আমরা চাই এ ভবনটি সঠিকভাবে অপসারণ করতে। তাই চাইনিজ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কন্ট্রোলড ডিমোলেশিং পদ্ধতিতে এটি অপসারণ করা হবে। অপসারণের অংশ হিসেবে আমরা এ ভবনটির ইউটিলিটি সার্ভিস বিচ্ছিন্ন করব।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, কন্ট্রোলড ডিমোলেশিং একটি প্রক্রিয়ার বিষয়। এটি একটি বিশাল ভবন। এখানকার গ্লাসগুলো আগে খুলে ফেলতে হবে। এ ছাড়া আরও অনেক বিষয় আছে, যা সম্পন্ন করার পরই অপসারণ করা হবে ভবনটি। আমরা আজ (মঙ্গলবার) থেকে ভবন অপসারণের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছি, যা শেষ করতে কিছুটা সময় লাগবে।

সর্বশেষ ১২ এপ্রিলের মধ্যে ভবনটি সরিয়ে নিতে সময় দিয়েছিলেন আদালত। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে রাজউক।

এএস/এমএসএইচ/আরআইপি

Advertisement