নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ইউরোপিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে নাম লিখিয়েছিলেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। রিয়ালের হয়ে টানা তিন মৌসুম উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতা রোনালদোর লক্ষ্য ছিলো জুভেন্টাসের হয়েও অভিন্ন সাফল্য পাওয়া।
Advertisement
কিন্তু তা আর হলো কই? চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি আসরে শেষ আটেই ছিটকে গেল রোনালদোর জুভেন্টাস। দুই লেগ মিলে ৩-২ ব্যবধানে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতার শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করেছে নেদারল্যান্ডসের ক্লাব আয়াক্স।
তবে চেষ্টার কমতি ছিলো না রোনালদো। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা জুভেন্টাসকে দারুণ এক হ্যাটট্রিক করে কোয়ার্টারে তুলেছিলেন রোনালদোই। এমনকি কোয়ার্টারেও আয়াক্সের বিপক্ষে দুই লেগ মিলে করেছেন ২টি গোল। তবু দলকে নিয়ে যেতে পারেননি সেমিফাইনালে।
শেষ আটের প্রথম লেগের ম্যাচে আয়াক্সের মাঠ থেকে ১-১ গোলে ড্র করে আসায় জুভেন্টাসের পক্ষে বাজি ধরার লোকই ছিলো বেশি। কিন্তু সব হিসেবনিকেশ পাল্টে দিয়ে জুভেন্টাসের ঘরের মাঠ থেকে ২-১ গোলের জয় এবং দুই লেগ মিলে ৩-২ ব্যবধানে জিতে সেমির টিকিট নিয়েই বাড়ি ফিরেছে তরুণ তুর্কিদের দল আয়াক্স।
Advertisement
অথচ ম্যাচের প্রথম গোলটা করেছিল জুভেন্টাসই। প্রথম লেগের মতোই দারুণ এক হেডে ম্যাচের ২৮তম মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। মিরালেম পিয়ানিচের কর্নারে রোনালদোর হেড এক ড্রপ খেয়ে জালে জড়ায়। চলতি আসরে যা রোনালদোর ষষ্ঠ এবং সবমিলিয়ে রেকর্ড ১২৬তম গোল।
তবে বেশিক্ষণ পিছিয়ে থাকতে হয়নি আয়াক্সকে। মিনিট ছয়েক বাদেই ম্যাচে সমতা ফেরান ডাচ ফরোয়ার্ড ডন ফন ডি বিক। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন হাকিম জিয়েচ। সেটি প্রতিহত হয় ডিফেন্ডারদের গায়ে, পেয়ে যান ফাঁকায় থাকা ডি বিক। ঠাণ্ডা মাথার শটে দলকে সমতায় বসান ২১ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড।
প্রথমার্ধ শেষে থাকে ১-১ এবং দুই লেগ মিলে ২-২ সমতা। ম্যাচের ফলাফল এমন থাকলে দেয়া হবে অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিট, সেটিতেও ফল অপরিবর্তিত থাকলে ভাগ্য নির্ধারণ হবে টাইব্রেকারে। কিন্তু এতো সব সমীকরণে ঘোর আপত্তি ছিলো আয়াক্স অধিনায়ক ম্যাথিজ ডি লিটের।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে আয়াক্সকে সেমিফাইনালের টিকিট এনে দেয়া গোলটি করেন ডি লিট। কর্নার কিক থেকে উড়ে আসা বলে হেড করে বল জালে জড়ান তিনি। এগিয়ে যায় আয়াক্স, পেয়ে যায় ম্যাচ জেতার রসদ। নেদারল্যান্ডসের দলটি গোল করেছিল আরও একটি। তবে সেটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যাওয়া ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।
Advertisement
দিনের অন্য ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দুই লেগ মিলে ৪-০ গোলের অগ্রগামিতায় সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিওনেল মেসির বার্সেলোনা।
এসএএস/জেআইএম