দেশজুড়ে

এবার যৌন হয়রানিতে জ্ঞান হারালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী

 

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

Advertisement

এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেছেন যৌন হয়রানির শিকার ছাত্রী। মামলার পরই যৌন নিপীড়ক সদর উপজেলার লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে হৃদয় হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সুধারাম মডেল থানা পুুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করায় হৃদয় হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত কয়েক মাস থেকে হৃদয়ের ছোট বোনকে বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়াতো যৌন হয়রানির শিকার ছাত্রী।

ওসি বলেন, ২ এপ্রিল প্রাইভেট পড়ানো শেষে বাসায় ফেরার পথে প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি হয়। এ সময় হৃদয় মোটরসাইকেলযোগে বাসা থেকে শহরে আসার পথে ভিকটিমকে মোটরসাইকেলে উঠার প্রস্তাব দেয়। প্রথমে ভিকটিম রাজি না হলেও ঝড়বৃষ্টির কথা বিবেচনা করে হৃদয়ের মোটরসাইকেলে ওঠে।

Advertisement

নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আসলে ভিকটিমকে মোটরসাইকেল থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় হৃদয়। সেই সঙ্গে যৌন নিপীড়ন করে। ওই সময় ভিকটিম জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাকে তাড়াতাড়ি নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা এবং চট্টগ্রাম নেয়া হয়। চট্টগ্রামের চিকিৎসা শেষে তার স্মৃতিশক্তি ফিরে আসে। পরে ওই দিনের ঘটনা মনে পড়ে ছাত্রীর। মঙ্গলবার ভিকটিম নোয়াখালী সুধারাম থানা যৌন হয়রানির মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে হৃদয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির (১৮) গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যা করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে জানাজার পর সন্ধ্যা ৬টায় সোনাগাজী আল হেলাল একাডেমির পাশে সামাজিক কবরস্থানে চির নিদ্রায় নুসরাতের মরদেহ শায়িত করা হয়।

মিজানুর রহমান/এএম/এমএস

Advertisement