‘তাঁত শুমারি ২০১৮’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৮ বছরের ব্যবধানে ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৫০ জন তাঁতীর সংখ্যা কমেছে। আর এই সময়ে তাঁত ইউনিটের সংখ্যা কমেছে ৯৬ হাজার ৪১৫টি।
Advertisement
আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে এই প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিএস। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েন, সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর পাশাপাশি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রতিবেদন প্রকাশের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ মান্নান বলেন, ‘যেটা আমি এখানে শুনলাম, তাঁত বোধহয় ধীরে ধীরে সংকুচিত হচ্ছে। এটা কোনো আবেগের বিষয় নয়, সংকুচিত হবেই। যান্ত্রিকীকরণের ফলে এটা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি কোনো আবেগের মানুষ নই। আমি রূঢ় বাস্তববাদী। তাঁত টিকবে কি না, এটা আমাদের ব্যক্তিগত সন্দেহ আছে। তবে বাজারের একটা অংশ আছে, যারা সবসময় এই অংশে থাকবে। যেমন আমাদের পার্বত্য অঞ্চল। ঐতিহ্যগতভাবে তারা যে ধরনের কাপড় ব্যবহার করে, ওখানে এর একটা স্থান আছে। আরও বেশিদিন হয়তো থাকবে। এ ছাড়া আমাদের মধ্যে যত সচেতনতা বাড়বে, ফ্যাশনের একটা অংশ এদিকে যাবে। তবুও আগে যে প্রধান ভূমিকায় ছিল, এটা বোধহয় থাকবে না। এটা আমাদের সবাইকে মেনে নিতে হবে। এটা কোনো আবেগ বা ভালোবাসার বিষয় নয়।’
Advertisement
এম এ মান্নান আরও বলেন, ‘আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এসব ধরে রাখতে হবে। আসলে আমরা সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে পারব না। রক্ষা করতে পারব না। সংস্কৃতি আমাদের রক্ষা করে। কীভাবে? ১৯৭১ সালে সংস্কৃতি আমাদের রক্ষা করেছিল। একাত্তরের শক্তির মূল আধেয়ই ছিল সংস্কৃতি। সুতরাং আমরা সংস্কৃতিকে রক্ষা করবো না, সংস্কৃতি আমাদের রক্ষা করবে। এরকম আরও অনেক বিষয় আছে, আমরা চাই বা না চাই, সেগুলো নিজস্ব শক্তিতেই পরিবর্তন হবে।’
মূল প্রতিবেদনটি ইংরেজিতে প্রকাশ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কিছু মনে করবেন না। ইংরেজিতে এই প্রতিবেদন করে প্রায় ৯০ ভাগ দেয়াল দেয়া হয়ে গেছে। যদি বাংলা হতো তাহলে আমিও বুঝতাম এবং আমাদের তাঁতি ভাই-বোনেরাও বুঝত। কাজ করলেন বাংলায়, লিখলেন বাংলায়, কিন্তু ছাপলেন ইংরেজিতে। এটা নিয়ে বোধহয় চিন্তা করা দরকার।’
পিডি/এনএফ/এমএস
Advertisement