রাজধানীর মতিঝিলে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের একটি গাড়িতে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক চার কোটি টাকা মূল্যের বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার বিকেল ওষুধগুলো জব্দ করা হয়।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর এএসপি রবিউল ইসলাম ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ড্রাগসুপার সৈকত কুমার কর ও ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল মতিঝিলে অবস্থিত সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায়।এ সময় বিক্রয় নিষিদ্ধ চার প্রকারের ট্যাবলেট- প্যারিঅ্যাকটিন, নিমোসোলাইড (নাইন পি ও নিপ-১০০) ও ডেক্সামিথাসন উদ্ধার করা হয়। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নিষিদ্ধ ওষুধের এ চালান এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।রাত ১১টায় এ প্রতিবেদক ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ড্রাগ সুপার সৈকত কুমার করের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে এ খবরের সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে তিনি জানান, বিক্রয় নিষিদ্ধ এ ওষুধের চালান যশোর থেকে জননী ড্রাগ হাউজ, মা মেডিসিন মার্কেট দ্বিতীয় তলা, মিটফোর্ড বাবুবাজারের এর জনৈক গোপন বিশ্বাসের নামে এসেছে।তিনি জানান, প্যারিঅ্যাকটিন ও নিমোসোলাইড ওষুধটি বিক্রয় নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করে ওষুধ প্রশাসন। প্যারিঅ্যাকটিন মোটাতাজাকরণে ব্যবহৃত হয়। নিষিদ্ধ এ ওষুধটি গরু ও শিশুদের মোটাতাজা করতে অধিক ব্যবহৃত হয়। নিমোসোলাইড ওষুধটি ব্যথানাশক। এটি ব্যবহারে কিডনি, লিভারের ক্ষতি হয়। ডেক্সামিথাসিন ট্যাবলেটটিও প্রদাহ ও তীব্র শ্বাসকষ্টের জন্য ব্যবহৃত হয়।জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর-১৯৮২ এর ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশের ৫(১) ও ১৬(এ) ধারায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন।ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, মিটফোর্ড বাবুবাজারের যে ব্যক্তির নামে চালানটি এসেছে তার টেলিফোন নম্বরে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। বড় বড় সাইজের মোট ছয়টি কার্টুনে বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধগুলো কুরিয়ারে পাঠানো হয়।এমইউ/বিএ
Advertisement