ইমরুল কায়েসের সঙ্গে তামিম ইকবালের বোঝাপড়াটা ভালো। সে সঙ্গে অভিজ্ঞতাও একটা বড় ব্যাপার। বিশ্বকাপ দলে তাই তামিমের সঙ্গে ইমরুলের নামটি উঠে আসছিল আলোচনায়।
Advertisement
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৫ জনের দলে জায়গা হলো না অভিজ্ঞ ইমরুলের। ওপেনিংয়ে নিজেদের জায়গা ধরে রাখলেন লিটন দাস আর অফফর্মে থাকা সৌম্য সরকারও।
দলে সে অর্থে এক্সপ্রেস ফাস্ট বোলার নেই। বোলিং বিভাগেও তাই তাসকিন আহমেদের নামটি জোরেসোরেই উচ্চারিত হচ্ছিল। যদিও জাগো নিউজের পাঠকরা আগেই জেনে গিয়েছিলেন, চোট কাটিয়ে ফেরা তাসকিনের বিশ্বকাপ দলে থাকার সম্ভাবনা কম। শেষ পর্যন্ত সেটাই ঘটলো, বাদ পড়লেন এই গতিতারকা।
ইমরুল কায়েসের ঘরের মাঠে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে দু’দুটি ম্যাচসেরা হওয়ার কৃতিত্ব আছে। ড্যাশিং ওপেনার তামিমের সঙ্গে ধীরস্থির ইমরুলের জুটিও জমে ভালো। তাদের রসায়নটাও ভালো বলেই গণ্য করা হয়।
Advertisement
এমনকি গত বছর এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তার ম্যাচ বাঁচানো অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস রয়েছে। এছাড়া ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজে দুটি সেঞ্চুরি এবং একটি সেঞ্চুরির কাছাকাছি ইনিংস রয়েছে তার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৪৪, পরের ম্যাচে ৯০ এবং তৃতীয় ম্যাচে করেছিলেন ১১৫ রান। তামিম ইকবালের ইনজুরির কারণে সুযোগ পেয়ে এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু কঠিন সত্য হলো, ইমরুলের ব্যাটের সেই ধার আগের মতো নেই। অনেকটাই নিষ্প্রভ, নিস্পৃহ। সঙ্গে ইনজুরি আর ফিটনেসজনিত সমস্যাও আছে। তাই তাকে বিশ্বকাপ দলের জন্য বিবেচনায়ই আনা হয়নি।
এদিকে লিটন দাস মোটামুটি উৎরে গেলেও (শেষ ৫ ইনিংসে মোহামেডানের হয়ে ২৭, ৮৪, ৩৬, ৫৩, ২৪) সৌম্যর সাম্প্রতিক ফর্ম উদ্বেগ জাগানোর মতোই। আবাহনীর হয়ে শেষ পাঁচ ইনিংসে তার রান-১২, ১০, ১৪, ১, ২। বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ দলে থাকেন কি না, সেটা নিয়ে কিছুটা সংশয় তৈরি হয়েছিল।
সৌম্যর বিকল্পও খোঁজা হয়েছে; কিন্তু সম্ভাব্য বিকল্পদের তিনজন (জহুরুল, বিজয়, ইমরুল) আসল সময়ে জ্বলে উঠতে না পারায় হয়তো আউট অব ফর্ম সৌম্যেই আস্থা রাখলেন নির্বাচকরা।
Advertisement
আবাহনীর হয়ে শেষ কয়েকটি বিগ ম্যাচে বল হাতেও বেশ ভালো করেছেন সৌম্য। উইকেট পেয়েছেন প্রায় প্রতি ম্যাচেই (শেষ পাঁচ ম্যাচে ৭ উইকেট)। সবমিলিয়ে এবারের মতো রক্ষা সৌম্যর।
এদিকে তাসকিন চোট কাটিয়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে খেলতে নামলেও ওই ম্যাচে ৫ ওভারে দিয়েছেন ৩৬ রান, পাননি একটি উইকেটও। যেহেতু তিনি পেস বোলার, ছন্দে ফিরতে একটু সময় লাগবেই। বিশ্বকাপের দলে এমন একজনকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাননি নির্বাচকরা।
তাসকিন পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় শফিউল ইসলাম আর আবু জায়েদ রাহির যে কোনো একজনকে দিয়ে পেসারের কোটা পূরণ করার কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে শফিউল লিগে খুব একটা ভালো করতে পারেননি। তাই রাহির উপরই আস্থা রেখেছেন নির্বাচকরা। বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলে ঢুকে গেছেন ডানহাতি এই পেসার।
বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ স্কোয়াড
মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ রাহী।
এমএমআর/আইএইচএস/পিআর