বিনোদন

সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবকে স্বাগত জানালেন তারকারা

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের আয়োজনে আগামী ২৩ এপ্রিল শুরু হতে যাচ্ছে সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবের তৃতীয় আসর। গত ৩০ মার্চ উৎসব শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মূহুর্তে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঘোরী মো. ওয়াসিমের সড়কে মৃত্যুর ঘটনায় উৎসব পিছানোর সিদ্ধান্ত নেন আয়োজকরা।

Advertisement

এদিকে সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজনকে স্বাগত জানাচ্ছেন দেশ বিদেশে চলচ্চিত্র নির্মাতা, সমালোচক, লেখক, অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা।

ইতোমধ্যে এই উৎসবের আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে ভিডিওবার্তা দিয়েছেন লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, লেখক আনিসুল হক, মুনীর হাসান, কলকাতার নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রাশিস আচার্য, অর্ণব মিদ্য, বাংলাদেশের নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, আশরাফ শিশির, নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান, নির্মাতা মুক্তাদির ইবনে সালাম, নির্মাতা শুভাশীষ রায়, শামীম আখতার, চলচ্চিত্র প্রযোজক আরিফুর রহমান, অভিনেতা মোশাররফ করিম, মনোজ কুমার, হুমায়ুন সাধু, অভিনেত্রী প্রিয়ম অর্চি, লেখক বিধান রিবেরু, কলকাতার চলচ্চিত্র সংগঠক অঙ্কিত বাগচী ও বাংলাদেশে রাশিয়ান বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের পরিচালক আলেক্সান্ডার ডেমিনসহ আরও অনেকে।

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘চলচ্চিত্র সবগুলো শিল্পমাধ্যমের মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। চলচ্চিত্র বানানো যেমন অনেক বড় ব্যাপার, চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনও বড় ব্যাপার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েরা এই কাজটি করছে দেখে আমি আনন্দিত। আমাদের সবার উচিৎ তাদের উৎসাহ দেয়া’।

Advertisement

নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায় সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবে এসে চলচ্চিত্র উপভোগ করার জন্য এবং দারুণ এই প্রয়াসকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য দর্শকদের আমন্ত্রণ জানান।

অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজনটা আনন্দের। বিশেষ করে আমরা যারা সিনেমার সাথে যুক্ত আছি তাদের জন্য। এভাবেই আমাদের সংস্কৃতি আরও বেগবান হবে, আরও উৎকর্ষতায় পৌঁছাবে’।

স্বাধীনধারার নির্মাতাদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে গত দুবছর যাবৎ সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ। আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসব শুরু হবে।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন শাওন জানান, এবারের আসরে ১১১টি দেশ থেকে ৩০৩৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র জমা পড়ে। যার মধ্যে বাছাইকৃত চলচ্চিত্রগুলো উৎসবে প্রদর্শিত হবে। এছাড়াও থাকবে বাংলাদেশ ও ভারতীয় নির্মাতাদের তৈরি আমন্ত্রিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের বিশেষ প্রদর্শনী ও চলচ্চিত্র বিষয়ক কর্মশালা।

Advertisement

এবারের আসরে জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র নির্মাতা আশরাফ শিশির, অভিনেতা মনোজ কুমার, নির্মাতা মুক্তাদির ইবনে সালাম ও ভারতীয় চলচ্চিত্র সমালোচক সিদ্ধার্থ মাইতি।

গত দুই আসরের মত এবারও উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আছেন উপমহাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্র উৎসব বিশেষজ্ঞ প্রেমেন্দ্র মজুমদার। এছাড়াও উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন কলকাতার চলচ্চিত্রকর্মী অঙ্কিত বাগচি।

এমএবি/এলএ/এমকেএইচ