খেলাধুলা

যে কারণে মঙ্গলবার বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা

যদিও নাজমুল হাসান পাপন আজ (সোমবার) বিকেলে পরিষ্কার করে দিয়েছেন, আইসিসিই সব দলকে ২৩ মে’র ভেতর (মানে ২২ মে) বিশ্বকাপ স্কোয়াডে পরিবর্তন আনার সুযোগ করে দিয়েছে। তার মানে প্রতিযোগী ১০ দল যে খেলোয়াড় তালিকাই ঘোষণা করুক না কেন, কোনো অনাহুত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ইনজুরি ছাড়াও ২২ মে পর্যন্ত ওই দলে রদবদল করা যাবে।

Advertisement

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তথা বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন ও নির্বাচকদের ভাবনাও তেমন। তারা আগামীকাল (মঙ্গলবার) একটি দল ঘোষণা করবেন। সেই দল হবে ১৫ জনের। পাশাপাশি আরও অন্তত দুই থেকে তিনজন বাড়তি ক্রিকেটার থাকবেন, যারা তিনজাতি টুর্নামেন্ট খেলতে আয়ারল্যান্ড যাবেন। সেখান থেকে ১৭ মে তিন জাতি আসরের পর প্রয়োজন পড়লে এবং কেউ তিন জাতি আসরে খুব বেশি ভালো খেললে তাকে বা তাদের বিবেচনায় আনা হবে।

এখন একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেটপাড়ায়। তা হলো, যদি ২৩ মে’র আগপর্যন্ত ইনজুরিজনিত সমস্যা ছাড়া শুধু ফর্মের কারণে ঘোষিত দলের কাউকে বাদ দিয়ে নতুন কাউকে নেয়াই যায়, তাহলে এখন কেন ১৫ জনের দল আলাদাভাবে ঘোষণা করা? সেটাও আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় আসরের পর করলেই তো চলতো।

এখন আর বিশ্বকাপের জন্য ১৫ জন আর আয়ারল্যান্ডে তিন জাতি টুর্নামেন্টের জন্য বাড়তি জন দুই-তিনজনকে আলাদা করে না ডেকে একবারে ১৭ জনকে আয়ারল্যান্ডে নিয়ে তারপর যাদের ফিটনেস ও ফর্ম নিয়ে খানিক সংশয়-সন্দেহ আছে- তাদের বাদ দিয়ে আয়ারল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ভালো খেলা পারফরমারদের দিয়ে একবারে ১৫ জনের বিশ্বকাপ স্কোয়াড সাজিয়ে নিলেই চলতো। কিন্তু তা করা হয়নি। কেন তা করা হলো না? সেটাই কি যুক্তিযুক্ত হতো না?

Advertisement

এমন প্রশ্নর উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, আইসিসির পক্ষ থেকে আগামী ২২ এপ্রিল ১৫ জনের দল ঘোষণার একটা সময়সীমা বেঁধে দেয়া আছে। পরের ঠিক এক মাস পর অবধি তাতে পরিবর্তন করা গেলেও আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে ১৫ জনের খেলোয়াড় তালিকা আইসিসির কাছে জমা দিতেই হবে। সেটা ক্রিকেটীয় কারণে নয়। আইসিসির পক্ষ যে সব আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা, বিমান টিকিট, আবাসন, জার্সির ব্যবস্থা করা হয়, সেগুলো যাতে ঠিকমতো সম্পন্ন করা যায় সে কারণেই ২২ এপ্রিল ১৫ জনের দল ঘোষণার সময় নির্ধারণ করা আছে।

এআরবি/বিএ