জাতীয়

পোশাক ও নন টেক্সটাইল শিল্প খাতের ৪১১ প্রতিষ্ঠান রুগণ

শিল্প, বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত পোশাক শিল্পের ২৭৯টি এবং নন টেক্সটাইল শিল্প খাতের দুই দফায় মোট ৪১১টি প্রতিষ্ঠান রুগণ শিল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

Advertisement

সোমবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তৃতীয় বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে জানানো হয়, এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য সুদ ভর্তুকিসহ নমনীয় পরিশোধ সূচিতে ঋণ হিসাব অবসায়নে বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এ প্যাকেজের আওতায় অধিকাংশ ঋণ হিসাব নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

বৈঠকে ব্যাংক ঋণের সুদের হার একক সংখ্যায় বাস্তবায়নের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত কার্যকর ব্যবস্থার ওপর, রুগণ শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বন্ধ ও অচল মিল কারখানা সচল করার বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা এবং অনাদায়ী/শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থার ওপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

কমিটি একক সংখ্যায় ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাস্তবায়নের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সুপারিশ করে।

Advertisement

বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহের সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক নীতিমালা জারি করা হয়েছে। ওই নীতিমালার ফলে অনেক রুগণ শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বন্ধ ও অচল মিল কারখানা সুদ মওকুফ সুবিধা পেয়েছে। ফলে ওইসব প্রতিষ্ঠানের অবশিষ্ট অনাদায়ী/শ্রেণিকৃত ঋণ আদায় সহজতর হয়েছে।

বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, ব্যাংকসমূহ ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) মাধ্যমে খেলাপি গ্রাহকের তথ্য নিজেদের মধ্যে আদান প্রদান করতে পারছে। ফলে এক ব্যাংকের খেলাপি গ্রাহক অন্য ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণ করতে পারছে না।

কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, নারায়ণ চন্দ চন্দ্র, মো. মাহবুব-উল আলম হানিফ, মির্জা আজম এবং মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এইচএস/আরএস/জেআইএম