ফিলিস্তিনিদের ঐতিহাসিক একটি মসজিদকে নাইট ক্লাবে ও বারে রূপান্তর করেছে ইসরায়েল। সেখানে এখন পার্টি হয়, চলে মদ্যপান। মাঝে মাঝে বিয়ের অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়। রাতে গানের তালে নাচতে দেখা যায় তরুণ তরুণী থেকে সব বয়সী মানুষকে।
Advertisement
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ পর্যবেক্ষণ সংস্থা মিডল ইস্ট মনিটর স্থানীয় এক মুসলিম কর্মীর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদেন এ তথ্য জানিয়েছে। উত্তর ফিলিস্তিনে অবস্থিত ত্রয়োদশ শতাব্দীর ওই মসজিদটির নাম আল-আহরাম। ইসরায়েলের সাফাদ নগর কর্তৃপক্ষ এই কাজটি করেছে।
মিডল ইস্ট মনিটর লন্ডন থেকে প্রকাশিত আরবভিত্তিক দৈনিক আল কুদুস আল আরাবির বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। তাদেরকে খাইর তাবারি নামে ফিলিস্তিনি ইসলামিক বৃত্তি প্রদানকারী সংস্থার এক কর্মী বিষয়টি সম্পর্কে জানান।
খাইর তাবারি নামের ওই কর্মী বলেন, ‘আমি যখন ব্যাপারটি প্রথমবার দেখতে পাই তখন তো বেশ মর্মাহত হয়ে পড়ি। মসজিদটির ভেতরে এমন কার্যক্রম লক্ষ্য করার পর আমি অন্তর্ঘাতে ভুগতে থাকি।’
Advertisement
কয়েক বছর আগে এ নিয়ে নাজারেথ আদালতে মসজিদটির হস্তান্তর চেয়ে একটি আবেদন করেন তিনি। তাবারি বলছেন, তিনি মসজিদটির মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্রও উত্থাপন করেন। কিন্তু এখনো আদালত এ বিষয়ে কোনো রুল জারি করেননি। বেশ কয়েকবার হামালার শিকার হয় মসজিদটি। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলিরা ওই এলাকার দখল নিলে মসজিদটিও হাতছাড়া হয়। তারপর থেকে নানাভাবে ব্যবহার হতে থাকে সেটি। সেখানে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ।
প্রথমে এটিকে ইহুদি যাজকদের একটি প্রশিক্ষণ কলেজ হিসেবে রুপান্তর করা হয়। তারপর ২০০৬ সালে ইসরায়েলের কাদিমা পার্টির নির্বাচনী কার্যালয় বানানো হয় মসজিদিটিকে।
মুস্তাফা আব্বাস নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আল আহমার মসজিদের লাল পাথররে লেখা মসজিদের নামটিও মুছে গেছে। আজকাল এখানে সবই হয় শুধু মুসলিমদের নামাজ আদায় করা বাদে। মুসলিমরা মসজিদটিতে গেলে ইহুদিদের আক্রমণের শিকার হন।’
মুস্তাফা আব্বাসর নামের ওই ঐতিহাসিক আরও বলেন, ‘মসজিদটির দূর্লভ ঐতিহাসিক ও স্থাপত্য মূল্য রয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মামলুক সাম্রাজ্যের সুলতান আল দাহের বাইবারসের শাসনামলে। মসজিদটির সামনে থাকা নামফলক বলছে এটি ১২৭৬ খ্রাষ্টাব্দে নির্মিত।
Advertisement
এসএ/পিআর