লবণ ছাড়া খাবার আর ভালোবাসাহীন জীবন একইরকম। পানসে ও বিস্বাদ। লবণ হলো যেকোনো খাবারের প্রাণ। আপনি যত দামী মশলা দিয়েই খাবার রাঁধুন না কেন, এক চিমটি লবণের অভাবে তা অখাদ্যে পরিণত হতে পারে।
Advertisement
কাঁচা লবণকে যদিও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর বলা হয় কিন্তু ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। লবণের ব্যবহার আপনার ত্বককে আরও উজ্জ্বল, সতেজ ও টানটান করে তুলতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক ত্বকের যত্নে লবণ কিভাবে ব্যবহার করবেন-
আরও পড়ুন: স্ট্রেচ মার্ক দূর করবেন যেভাবে
এক্সফোলিয়েশনলবণ দিয়ে দারুণভাবে স্ক্রাবিং করা যায়। প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে লবণ বেশ কার্যকরী। মৃত নির্জীব কোষ সরিয়ে ভিতর থেকে ত্বক ঝলমলে করে তুলতে পারে লবণ। লবণ দিয়ে এক্সফোলিয়েট করলে ত্বক দৃশ্যতই মসৃণ ও টানটান হয়ে ওঠে। তবে মুখ এক্সফোলিয়েট করতে লবণ ব্যবহার করবেন না, কারণ খসখসে লবণের দানায় মুখের ত্বক ছড়ে যেতে পারে। তাই লবণ দিয়ে মুখ বাদ দিয়ে ত্বকের অন্যান্য অংশ এক্সফোলিয়েট করতে পারেন।
Advertisement
ভিতর থেকে পরিষ্কারত্বক পরিষ্কার করার কাজে চিনির চেয়ে এক্সফোলিয়েট বেশ কার্যকরী। কারণ লবণে ব্যাকটেরিয়ানাশক ক্ষমতা রয়েছে। অতিরিক্ত লবণাক্ত পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া সহজে জন্মাতে পারে না। একই কথা ত্বকের বেলাতেও প্রযোজ্য। ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে বিশেষ ভূমিকা নেয় লবণ এবং রোমছিদ্র গভীর থেকে পরিষ্কার রাখে।
ব্রণ কমাতেযেহেতু লবণের ব্যাকটেরিয়া নাশক গুণ রয়েছে, তাই ব্রণ সহ ত্বকের যে কোনো ধরনের র্যাশ কমাতে লবণ ব্যবহার করা যায়। লবণ ত্বক থেকে যাবতীয় ধুলোময়লা শুষে নেয় এবং সেবাম নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে এনে ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের মাত্রায় ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই এমন স্কিন ক্লিনজার ব্যবহার করুন যাতে লবণ রয়েছে। লবণযুক্ত টোনার ব্যবহার করলেও ফল পাবেন। কীভাবে বুঝবেন প্রডাক্টে লবণ রয়েছে কিনা? ক্লিনজার বা টোনার কেনার আগে লেবেলে দেওয়া উপাদানের তালিকায় সোডিয়াম ক্লোরাইড বা সিওয়াটার লেখা আছে কিনা দেখে নিন।
আরও পড়ুন: যেসব ফলের রস খেলে ত্বক ভালো থাকে
ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষায়লবণ ত্বক থেকে দূষিত উপাদান শুষে নিয়ে আর্দ্রতা ও পুষ্টি ফিরিয়ে দেয়। লবণ থেকে প্রাপ্ত নানা মিনারেল যেমন ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম ত্বকে আর্দ্রতা সঞ্চার করে ও ত্বক টানটান রাখে।
Advertisement
এইচএন/জেআইএম