অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি শেখ মো. নূরুল হকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ মামলা দায়ের করা হয়।মামলার অপর আসামিরা হলেন, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার আলহাজ সারোয়ার খান ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হাবিবুল্লাহ বাহার হাবিব, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ত্রিদিব কান্তি মন্ডল, নিয়োগ বোর্ডের সদস্য কালিদাস চন্দ্র চন্দ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএস বিভাগের পরিচালক ড. মো. শহীদুল্লাহ, বিএল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর গুলশান আরা বেগম ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-গাজীপুরের উপাচার্য।উপজেলার কুমিরা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক আব্দুল গফুর মোড়ল বাদী হয়ে পাইকগাছার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। (মামলা নং-১৯৭/১৫)। আদালতের বিচারক মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরী অভিযোগ আমলে নিয়ে এমপি শেখ মো. নূরুল হক, ত্রিদিব কান্তি মন্ডল ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে এ নিয়োগের ওপর কেন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে আগামী সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছেন।অন্যথায় নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করা হবে বলেও আদালত উল্লেখ করেন।মামলার বাদী প্রভাষক আব্দুল গফুর মোড়ল অভিযোগ করেন, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।বাদী ওই পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করেন।৭ আগস্ট তিনি খুলনার বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায়ও হাজির হন।কিন্তু কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় এমপি শেখ নূরুল হক ওই সময় হরিঢালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও তার ভাই বিএল কলেজের শিক্ষক হারুন সরদারের মাধ্যমে তার কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন।এ কারণে তিনি পরীক্ষা না দিয়েই ফিরে আসেন।পরবর্তীতে আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।এ কারণেই তিনি মামলা দায়ের করেছেন।
Advertisement
আলমগীর হান্নান/এমএএস/আরআইপি