খেলাধুলা

ফতুল্লায় ঝড় তুললেন আরিফুল

সুপার লিগের ম্যাচ শুরুর আগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বক্তব্য দিয়েছিলেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কোচ সারোয়ার ইমরান। প্রথম পর্বে ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট থাকায় তাদের শিরোপা জেতার সম্ভাবনাও রয়েছে প্রচুর।

Advertisement

কিন্তু ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমন্ডি লিমিটেডের বিপক্ষে সেরা ছয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশামাফিক ব্যাটিং করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক। শেষদিকে ঝড় তুলে দলকে ২৩৬ রানের লড়াকু পুঁজি এনে দিয়েছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার আরিফুল হক।

ইনিংসের ৩৩তম ওভারে দলীয় ১৩১ রানের মাথায় যখন উইকেটে আসেন আরিফুল, তখন ১০ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছে প্রাইম ব্যাংক। সেখান থেকে নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে নিয়ে আরও ১০৫ রান যোগ করেন আরিফুল। যেখানে তার অবদানই ৭৪ রান, মাত্র ৫১ বলে।

তানবির হায়দার ও এনামুল হককে জোড়া ছক্কা হাঁকান আরিফুল। সবমিলিয়ে তার ব্যাট থেকে মোট ৭টি বলে পেরিয়ে যায় ফতুল্লার সীমানা দড়ি। ইনিংসের ৪৯তম ওভারে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৫১ বলে ২ চার ও ৭ ছয়ের মারে ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ২৬ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার।

Advertisement

আরিফুলের এ ঝড়ের পরেও ২৩৬ রানের বেশি করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক। এর কারণ মিডলঅর্ডারদের ব্যর্থতা। অথচ টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১২১ রান যোগ করেছিলেন ওপেনার রুবেল মিয়া এবং ভারত থেকে উড়ে আসা নোমান ওঝা।

ইনিংসের প্রথম বলেই অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরলে হাল ধরেন রুবেল ও নোমান। নিজের লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটিতে ৯৫ বলে ৬৬ রান করেন রুবেল। নোমানের ব্যাট থেকে আসে ৭৫ বলে ৪৬ রান।

২৮তম ওভারে ভাঙে দ্বিতীয় উইকেট জুটি। এরপর আল আমিন জুনিয়র ৬, অলক কাপালি ১, নাহিদুল ইসলাম ০ এবং নাঈম হাসান ১ রান করে আউট হলে বিপদে পড়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। সেখান থেকে দলকে বলার মতো সংগ্রহ এনে দেন আরিফুল হক।

ক্যারিয়ারের অষ্টম লিস্ট ‘এ’ ফিফটি করেন তিনি। এছাড়া মনির হোসেন ১৪ এবং আব্দুর রাজ্জাক করেন ১৪ রান। বল হাতে ৩টি করে উইকেট নেন তানবির হায়দার এবং ইলিয়াস সানি।

Advertisement

এসএএস/পিআর