খেলাধুলা

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে স্মিথ-ওয়ার্নার, অধিনায়ক ফিঞ্চ

আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড। দলে ফেরানো হয়েছে বল টেম্পারিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ থাকা সাবেক অধিনায়ক ও সহ অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে।

Advertisement

তবে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেলেও স্বভাবতই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাননি স্মিথ বা ওয়ার্নারের কেউই। বিশ্বকাপের আসন্ন আসরে অস্ট্রেলিয়া দলকে নেতৃত্ব দেবেন ৩২ বছর বয়সী ডানহাতি ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ।

পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের স্কোয়াডে চমক নেই তেমন কোনো। সাম্প্রতিক সময়ে পারফর্ম করা সবাইকেই রাখা হয়েছে স্কোয়াডে। শুধুমাত্র ডানহাতি মিডল অর্ডার পিটার হ্যান্ডসকম্ব এবং অ্যাশটন টার্নারই পাননি বিশ্বকাপের টিকিট।

স্মিথ-ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে এবং ফর্মে থাকা সবাইকে বিশ্বকাপ দলে জায়গা দিতে পেরে তৃপ্তির ঢেকুল তুলছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকরা। বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত এ স্কোয়াড বেশ শক্তিশালী হলেও, আলোচনার জায়গা রয়েছে প্রচুর। কথা উঠতে পারে বেশ কয়েকটি পজিশন নিয়ে।

Advertisement

প্রায় দেড় মাসব্যাপী লম্বা টুর্নামেন্টের জন্য নিজেদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে কেবলমাত্র একজন উইকেটরক্ষককে দলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এখনো পর্যন্ত ১৯ ওয়ানডেতে মাত্র ১টি ফিফটিতে ৩০ গড়ে ৪২৯ রান করা অ্যালেক্স ক্যারে নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবতেই পারেন।

কেননা পুরো বিশ্বকাপে যতোই খারাপ খেলেন না কেন, উইকেটরক্ষক কোটায় পুরো বিশ্বকাপ খেলার নিশ্চয়তা ইতোমধ্যেই পেয়ে গেছেন তিনি। মূলত এ কারণেই হ্যান্ডসকম্বকে বাদ দেয়াটা ভালোভাবে নিচ্ছে না ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কারণ একজন মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি ব্যাকআপ উইকেটরক্ষকের কাজটাও ভালোই চালাতে পারতেন হ্যান্ডসকম্ব।

এছাড়া ডানহাতি তরুণ পেসার জশ হ্যাজলউডকেও রাখা হয়নি স্কোয়াডে। তবে রয়েছে ঝাই রিচার্ডসন, জেসন বেহেন্ডর্ফের মতো নতুন পেসাররা। সাম্প্রতিক সময়ে এরা নিজেদের প্রমাণ করলেও, হ্যাজলউড বরাবরই অস্ট্রেলিয়া দলের পরীক্ষিত পারফর্মার। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই খেলার বাইরে থাকার কারণেই মূলত স্কোয়াডে জায়গা হয়নি হ্যাজলউডের।

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে থাকবে পেসারদের দাপট। এ ভাবনায় নিজেদের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে পাঁচজন পেসারকে সুযোগ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তারা হলেন প্যাট কামিনস, মিচেল স্টার্ক, ঝাই রিচার্ডসন, নাথান কাউল্টার নিল, জেসন বেহেন্ডর্ফ। এছাড়া ডানহাতি মিডিয়াম পেসে মূল বোলারদের সহযোগিতা করতে রয়েছেন মার্কস স্টইনিসও।

Advertisement

এদিকে স্পিনার হিসেবে স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন তরুণ লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পা এবং অভিজ্ঞ অফস্পিনার নাথান লিয়ন। এছাড়া এ দুজনকে সঙ্গ দেয়ার জন্য খণ্ডকালীন লেগস্পিনার স্টিভেন স্মিথ এবং খণ্ডকালীন অফস্পিনার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও রয়েছেন দলে।

নিজেদের স্কোয়াড ঘোষণার পর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক ট্রেভর হন্স বলেন, 'দলের গভীরতা এবং প্রতিভার বিচারে স্কোয়াড ঘোষণার সময় আমাদের বেশ কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত সাম্প্রতিক সময়ে দলের সঙ্গে ভারত এবং দুবাই সফর করা পিটার হ্যান্ডসকম্ব, অ্যাশটন টার্নার এবং কেন রিচার্ডসন বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাননি। তবে তিনজনকেই এ দলে ইংল্যান্ড সফরের জন্য নেয়া হয়েছে।'

হ্যাজলউডের ব্যাপারে হন্স বলেন, 'জশ হ্যাজলউডকেও অস্ট্রেলিয়া এ দলের স্কোয়াডে নেয়া হয়েছে। লম্বা সময় ধরে শীর্ষ পর্যায়ে ক্রিকেট খেলছেন না তিনি। তাই আমরা মনে করছি এ দলের হয়ে খেলতে পারলে সেটা তার অ্যাশেজের প্রস্তুতির জন্য ভালো হবে।'

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ স্কোয়াডঅ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, উসমান খাজা, শন মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কস স্টইনিস, অ্যালেক্স ক্যারে (উইকেটরক্ষক), প্যাট কামিনস, মিচেল স্টার্ক, ঝাই রিচার্ডসন, নাথান কাউল্টার নিল, জেসন বেহেন্ডর্ফ, অ্যাডাম জাম্পা এবং নাথান লিয়ন।

এসএএস/এমকেএইচ