দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো এবং ডেভিড ওয়ার্নার শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্ত। দিল্লি ক্যাপিট্যালসের করা ১৫৫ রান তখন মনে হচ্ছিলো মামুলি সংগ্রহ। কিন্তু পরের ব্যাটসম্যানরা কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে না পারায় ৩৯ রানের বড় পরাজয়ই সঙ্গী হয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের।
Advertisement
প্রতিপক্ষের মাঠে আগের দুই ম্যাচ হেরে, ঘরের মাঠে জয়ে ফেরার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল কেন উইলিয়ামসনের দল। কিন্তু ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে তা আর সম্ভব হয়নি। মাত্র ১৫ রানে শেষের ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রানেই অলআউট হয়ে গেছে হায়দরাবাদ।
১৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান যোগ করেন ওয়ার্নার এবং বেয়ারস্টো। ৩১ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কার মারে ৪১ রান করে ফেরেন বেয়ারস্টো। ব্যর্থ হন দলে ফেরা অধিনায়ক উইলিয়ামসনও। আউট হন ৮ বলে ৩ রান করে।
তবু ওয়ার্নার থাকায় স্বস্তি ছিলো হায়দরাবাদ শিবিরে। তৃতীয় উইকেটে রিকি ভুইয়ের সঙ্গে পরিস্থিতি নিজেদের আয়ত্বেই রেখেছিলেন ওয়ার্নার। কিন্তু ১৬তম ওভারে ওয়ার্নার এবং বিজয় শঙ্করকে সাজঘরে পাঠিয়ে হায়দরাবাদের পতনের শুরুটা করেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার কাগিসো রাবাদা।
Advertisement
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করে আউট হন ওয়ার্নার। এরপর আর কেউই উইকেটে থিতু হতে না পারলে ৭ বলে আগেই ১১৬ রানে অলআউট হয়ে যায় হায়দরাবাদ। দিল্লি পায় ৩৯ রানের সহজ জয়। বল হাতে কাগিসো রাবাদা ৪টি এবং ক্রিস মরিস ও কেমো পল নেন ৩টি করে উইকেট।
টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল দিল্লি। কলিন মুনরো এবং অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যাটে মনে হচ্ছিলো বড় সংগ্রহই পেতে যাচ্ছে তারা। তবে বাকি ব্যাটসম্যানরা তেমন কিছু করতে না পারায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।
পৃথ্বি শ ৫ বলে ৪, শিখর ধাওয়ান ৮ বলে ৭, রিশাভ প্যান্ট ১৯ বলে ২৩, ক্রিস মরিস ৮ বলে ৪, কেমো পল ৪ বলে ৭ রান করে আউট হওয়ার কারণেই মূলত বড় হয়নি দিল্লির সংগ্রহ।
কলিন ইনগ্রামের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়ে ৪ চার ও ৩ ছক্কার মারে ২৪ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মুনরো। এছাড়া অধিনায়ক শ্রেয়াসের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। শেষ দিকে ১১ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন অক্ষর প্যাটেল।
Advertisement
হায়দরাবাদের পক্ষে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন খলিল আহমেদ। এছাড়া ভুবনেশ্বর কুমার ২টি এবং অভিষেক শর্মা ও রশিদ খান নেন ১টি করে উইকেট।
এসএএস/এমকেএইচ