প্রবাস

রেমিট্যান্স প্রেরণে দ্বিতীয় আমিরাত প্রবাসীরা

রেমিট্যান্স প্রেরণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীরা দ্বিতীয় স্থানে আছেন। জরিপে দেখা গেছে, রেমিট্যান্স প্রেরণের সিংহভাগ আসে ৬টি দেশ থেকে। দেশগুলো হচ্ছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত, মালয়েশিয়া এবং যুক্তরাজ্য। গত অর্থবছরে (২০১৭-১৮) এসব দেশ থেকে ১ হাজার ৪৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসে। চলতি অর্থবছরের নয় মাসেও দেশগুলো থেকে প্রবাসী আয়ের একই চিত্র দেখা গেছে।

Advertisement

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য মিলেছে।

গত অর্থবছরে আসা ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্সের মধ্যে শীর্ষ ৩০ দেশ থেকে এসেছে ১ হাজার ৩৬১ কোটি ডলার। অন্যান্য দেশ থেকে আসে ১৩৭ কোটি ডলার। একইভাবে দেশভিত্তিকভাবে চলতি অর্থবছরের নয় মাসের চিত্রও প্রায় অভিন্ন। এ সময় ৩০ দেশ থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ১৭৪ কোটি ডলার। আর অন্যান্য দেশ থেকে ১২৭ কোটি ডলার।

সূত্র জানায়, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাড়ছেই। গত অর্থবছরের মতো চলতি অর্থবছরেও ভালো প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে অর্থাৎ জুলাই-মার্চ সময়ে ১ হাজার ১৮৬ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

Advertisement

২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে এসেছে ১ হাজার ৭৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। সে হিসাবে এই নয় মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।

সর্বশেষ মার্চ মাসে ১৪৫ কোটি ৮০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের মার্চে এসেছিল ১৩১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। সে হিসাবে মার্চে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ।

টাকার বিপরীতে ডলারের উচ্চমূল্য এবং হুন্ডি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে গত অর্থবছরের মতো চলতি অর্থবছরেও রেমিট্যান্সে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি খুবই ভালো। প্রতি মাসেই বাড়ছে। প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তারই ফল পাওয়া যাচ্ছে।

Advertisement

২০১৯ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৫৯ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা ছিল একক মাসের হিসাবে রেকর্ড। এর আগে গত বছরের মে-তে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে মাশুল না নেয়াসহ নানা ঘোষণাও দিয়েছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাশুল কমানোর সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন হয়নি। হুন্ডি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে গত অর্থবছর রেমিট্যান্স বাড়ে। খরা কাটিয়ে বাংলাদেশ ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষ করেছিল ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে।

বর্তমানে ১ কোটির বেশি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। তাদের পাঠানো অর্থ বাংলাদেশে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।

এসআর/এমকেএইচ