ক্যাম্পাস

শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়নের প্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. আমির হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. নূরুল আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ফিরোজ আল হাসান এবং ট্রেজারার অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মেডিকেল সেন্টার নিয়ে বিদ্যমান সমস্যাসমূহ সমাধানের জন্য আন্দোলনে নামে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও জাবি মেডিকেল সেন্টারের সামনে মানববন্ধন করে।

Advertisement

আরও পড়ুন >> এক পরীকে নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে তার বাবা

প্রশাসনের মেনে নেয়া দাবিসমূহ হলো, ২০ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট প্রদান করা, তদন্ত সাপেক্ষে নিভৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা, ২৪ এপ্রিলের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নেব্যুলাইজার, ইসিজি মেশিন, জেনারেটর প্রদান করা, ১৩ জুনের মধ্যে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা, ১৭ এপ্রিল থেকে সপ্তাহে ৭ দিন অন্তত ৪ জন করে ডাক্তার থাকা, ওষুধ ক্রয়ের বরাদ্দ বাড়ানো, মেডিকেলের সামগ্রিক বাজেটের এবং ওষুধের স্টকের স্বচ্ছতা শিক্ষার্থীদের সামনে নিশ্চিত করা, ওষুধের মান ও পরিমাণ বৃদ্ধি করা, মেডিকেলের আসন বাড়ানো, পূর্ণাঙ্গ প্যাথলজি বিভাগ চালু করা, ১৭ এপ্রিলের মধ্যে ফিজিওথেরাপিস্ট নিয়োগ দেয়া, সকল শিক্ষার্থীকে মেডিকেল কার্ড প্রদান করা, অভিযোগের জন্য সার্বক্ষণিক হটলাইন চালু করা এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক নার্স ও টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেয়া।

এর আগে, সকালে জাবি মেডিকেল সেন্টারের মান উন্নয়ন ও সেবা বাড়ানোর দাবিতে জাবির ৪৪তম আবর্তনের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ইয়াসিন আরাফাত বর্ণ এবং ইতিহাস বিভাগের খান মোহাম্মদ রিফাত বিল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান নেয়। পরে বিভিন্ন বিভাগ এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদেরকে সমর্থন করে অসংখ্য সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

Advertisement

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে ইংরেজি বিভাগের ৪৫তম আবর্তনের ছাত্র নুরুজ্জামান নিভৃত (২২) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকরণের দাবি জানিয়ে রোববার মানববন্ধন করে।

এমএএস/জেআইএম