শেষ বিকেলে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে হাজারও মানুষের ঢল নামলেও আগত দর্শনার্থীদের রবীন্দ্র সরোবরের আশেপাশের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করেই সময় কাটাতে হয়েছে। কারণ, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৫টার পর আর সেখানে কাউকে থাকতে দেয়া হয়নি।
Advertisement
নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা বিকেল ৫টার পর বাঁশি বাজিয়ে রবীন্দ্র সরোবরে থেকে দর্শনার্থীদের বাইরে বের হওয়ার অনুরোধ জানান। বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর রবীন্দ্র সরোবরের চত্বরের ভেতরে কাউকেই থাকতে দেয়া হয়নি। এ সময় হাজার হাজার মানুষকে রবীন্দ্র সরোবর থেকে বের হয়ে যেতে দেখা যায়।
অনেকেই ভিড় ঠেলে রবীন্দ্র সরোবর চত্বরে ঢোকার চেষ্টা করলেও পুলিশি বাঁধার সম্মুখীন হয়ে তারাও ফিরে যান। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় হেঁটে বেরিয়ে সময় কাটান।
রাজধানীর মিরপুর থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা শাহেদ মজুমদার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, সকালে প্রখর রোদের কারণে ওদের (স্ত্রী-সন্তান) নিয়ে বের হতে সাহস করিনি। বিকেলে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম কিন্তু বুঝতে পারিনি এতো তাড়াতাড়ি এখানে অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাবে। ভেবেছিলাম সন্ধ্যা থেকে গান বাজনা চলবে।
Advertisement
এ সময় স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আর কী করবো, চলো বসুন্ধরা থেকে ঘুরে আসি।
শাহেদ মজুমদারের মতো আরও অনেকেই শেষ বিকেলে রবীন্দ্র সরোবরে গিয়ে মন খারাপ করে চলে যান।
এমইউ/আরএস/জেআইএম
Advertisement