খেলাধুলা

কলকাতা ম্যানেজম্যান্টকে ধুঁয়ে দিলেন দলটির সাবেক তারকা

মনোজ তিওয়ারি! আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, রাইজিং পুনে সুপারস্টার্স এবং কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে খেললেও সবচেয়ে বেশি চার মৌসুম কাটিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সেই। ২০১২ সালে কলকাতার প্রথম শিরোপা জয়ের আসরে ফাইনাল ম্যাচটিতে উইনিং শটও হাঁকিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

সেই তিনিই এখন মেতেছেন কলকাতার তুমুল সমালোচনায়। তবে সেটি ব্যক্তিগত কোনো কারণে নয়। কলকাতা টিম ম্যানেজম্যান্টের অতিরিক্ত বিদেশীয় খেলোয়াড় প্রীতির কারণে। ২০১০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত কলকাতার জার্সিতে খেলেছেন পশ্চিম বাংলার খেলোয়াড় মনোজ।

পরে ২০১৭ সালে রাইজিং পুনে সুপারস্টার্স এবং ২০১৮ সালে কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে খেললেও চলতি আসরে কোনো দলে সুযোগ পাননি মনোজ। তবে চেষ্টা করেছিলেন ২০০৮-০৯ এবং ২০১৪-১৫ সালে খেলা দিল্লিতে নিজের নাম লেখানোর। কিন্তু ট্রায়ালে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

তাতে কী? আইপিএল দেখা কি আর বাদ দেয়া যায়? খুব গভীরভাবেই তিনি পর্যবেক্ষণ করছেন আইপিএলের ম্যাচগুলো। আর নিজের দেখার অভিজ্ঞতা থেকেই কলকাতার ম্যানেজম্যান্টকে ধুঁয়ে দিয়েছেন মনোজ।

Advertisement

গত শুক্রবার দিল্লি ক্যাপিট্যালসের বিপক্ষে ম্যাচে কলকাতার হয়ে ওপেনিংয়ে নেমে ৩৯ বলে ৬৫ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছিলেন তরুণ তারকা শুভমান গিল। কিন্তু আজ চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে তাকে নামানো হয়েছে ৭ নম্বরে, হাসেনি তার ব্যাট। ২০ বলে খেলে করতে পেরেছেন মাত্র ১৫টি রান।

মনোজের আপত্তি ঠিক এ জায়গাতেই। আগের ম্যাচে ইনিংস সূচনা করা কাউকে কেনো সাত নম্বরে নামানো হলো সেটিই বোধগম্য হয়নি তার। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে প্রথম মজার ছলে তিনি লিখেন, ‘শুভমান গিল কি আজ খেলছে? ওহ! আমি এখন বুঝলাম যে আগামীকাল তো বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করা হবে। কে বলেছে এটা টিম গেম? প্রায়ই খালি চোখে ধরা পড়ে যায় এটি।’

তার এ লেখাটুকু শুরুতে খুবই রহস্যজনক ঠেকে সকলের কাছে। তাই পরক্ষণে নিজেই পরিষ্কার করেন অবস্থান। বিশদ ব্যাখ্যা দিয়ে পরবর্তী টুইটে লিখেন, ‘যখন কোনো খেলোয়াড় আগের ম্যাচেই ৬৫ রানের ক্লাসিক ইনিংস খেলেন, তখন একজন দর্শক-সমর্থক হিসেবে পরবর্তী ম্যাচে আমি তাকে ওপরের দিকেই ব্যাট করতে দেখতে চাইবো। বিদেশী খেলোয়াড়দের প্রাধান্য দেয়ার চেয়ে আমাদের লোকাল খেলোয়াড়দের উপযুক্ত মঞ্চ দিতে পারাটাই মূল ব্যাপার আমার মতে।’

পরবর্তীতে ভিন্ন দুই টুইটে মনোজ আরও লিখেন, ‘একজন ক্রিকেট ভক্ত হিসেবে, বিশেষ করে যে নিজেও ক্রিকেট খেলে থাকে- তার পক্ষে এসব জিনিস বারবার পুনরাবৃত্তি হতে দেখাটা হজম করা সহজ নয়। দেখুন, ব্যাপারটা এমন নয় যে কে গত আসরে কোথায় খেলেছে বা কোথায় খেলে থাকে। মূল ব্যাপারটা হলো যখন কেউ ছন্দে থাকে তাকে পুরোপুরি সুযোগটা অন্তত দেয়া।’

Advertisement

এসএএস/জেআইএম