দেশজুড়ে

ধরলার পানি বিপদসীমার উপর

টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।

Advertisement

এদিকে মঙ্গলবার সকালে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।আর ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জাগো নিউজকে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ৪৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১৪ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার এবং কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার সামান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়েছে আরো নতুন নতুন এলাকা।রাস্তা ও বাঁধের উপর আশ্রিত অনেকেই এখনও ঘরে ফিরতে পারেননি। তার উপর নতুন করে বন্যা দেখা দেয়ায় তাদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। ১০ দিনেরও বেশী সময় ধরে পানির উপর থাকতে থাকতে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে পানি বাহিত বিভিন্ন রোগ-ব্যাধিতে। এদিকে হাতে কাজ না থাকায় হাজার হাজার দিনমজুর পরিবারে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক শওকত আলী জাগো নিউজকে জানান, প্রায় ৫৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত রয়েছে। যার বেশীরভাগই নষ্ট হবার পথে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানান, এ পর্যন্ত ১৫৯ মেট্রিক টন চাল ও ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।আবারো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় নতুন করে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জাগো নিউজকে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ৪৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।নাজমুল/এমএএস/আরআইপি