সাভারে নিখোঁজের তিনদিন পর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হুমায়ুন কবির সরকারের মরদেহ নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে সাভারের ধলেশ্বরী নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় হুমায়ুন কবির সরকারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
স্থানীয় সূত্র জানায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হুমায়ুন কবির সরকারকে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে ভারী বস্তু দিয়ে বেঁধে ধলেশ্বরী নদীতে ডুবিয়ে দেয়া হয়।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে নদীতে অভিযান চালানোর পরও হুমায়ুনের মরদেহের খোঁজ মেলেনি। টানা তিনদিন অভিযানের পর রোববার সকালে ধলেশ্বরী নদীতে ভেসে ওঠে হুমায়ুন কবিরের মরদেহ।
সকালে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ধলেশ্বরী নদীতে হুমায়ুন কবির সরকারের মরদেহ ভেসে উঠতে দেখা যায়। এরপর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত হুমায়ুন কবির সরকার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি। তিনি রাজফুলবাড়ীয়া এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে।
Advertisement
নিহত হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী শিল্পী বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে হুমায়ুন কবিরকে ফোন করে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় স্থানীয় আমিনুল, পারভেজ, আলম, আলমগীর, শুকুর ও হান্নান। পরে তাকে স্থানীয় মাছ বাজারে নিয়ে ১০ থেকে ১২ জন মিলে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে পাশের ধলেশ্বরী নদীতে ঝাঁপ দেন হুমায়ুন কবির। এরপর সন্ত্রাসীরা ট্রলারে করে নদীতে নেমে তাকে কুপিয়ে ও টেঁটা দিয়ে হত্যা করে। পরে গুমের উদ্দেশ্যে ভারী বস্তুর সঙ্গে মরদেহ বেঁধে ডুবিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করা হলে শুক্রবার রাতে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত নৌকার মাঝি ও তার সহকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হুমায়ুন কবিরের মরদেহের সন্ধানে অভিযান চালায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়েছে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত অন্য ব্যক্তিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আল-মামুন/এএম/জেআইএম
Advertisement