বাংলা নববর্ষ বরণে দিনভর নানান অনুষ্ঠান ও খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দিবসটি উপলক্ষে ভবনের ভেতরটা সাজানো হয়েছে বাঙালির নানা ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ নিয়ে। ইসির অভ্যর্থনার জায়গায় বাঁশের তৈরির ঢালায় লেখা হয়েছে ‘শুভ নববর্ষ’।
Advertisement
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবসহ সবাইকে ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে। নির্বাচন কমিশনের ফুয়ারা চত্বরে খানাদানার ব্যবস্থা করা হলেও বেসমেন্টে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠান শুরুর কথা থাকলেও তার আগে থেকেই সেখানে ইসির অনেকেই জড়ো হতে থাকেন। সকাল সাড়ে ১০টার একটু আগে সিইসি পৌঁছালেও নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ একসঙ্গে ইসির ফুয়ারা চত্বরে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা একসঙ্গে ফটোসেশনেও অংশ নেন। এরপর সকালের নাস্তা করেন তারা। তবে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আরেক কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত হননি।
সকালের নাস্তায় পান্তা ভাত থাকলেও ইলিশ রাখা হয়নি। এর বদলে রুই মাছ দেয়া হয়। এছাড়া শুটকি, আলু, ডাল ভর্তাসহ নানা ধরনের ভর্তা রাখা হয়। সঙ্গে ছিল দেশীয় মুরগি। এরপর তরমুজ দেয়া হয়। সেখানে বুফে স্টাইলে খাবার পরিবেশন করা হয়। আর অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের পরিবার নিয়ে অংশ নেন। ‘এসো হে বৈশাখ, এসো হে বৈশাখ’ গান ছাড়াও দেশাত্মকবোধক নানা গান শুনতে শুনতে তারা সকালের নাস্তা করেন। এ সময় ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের কলরবে মুখরিত হয় ফুয়ারা চত্বর।
Advertisement
কমিশন বৈঠকে বিভিন্ন সময় নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) দেয়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘ইসির সবাই একসঙ্গে নতুন বছর বরণের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’
জানা গেছে, ইসিতে কর্মরতরা চাঁদা নিয়ে এই বৈশাখী উৎসবের আয়োজন করেন।
এইচএস/জেএইচ/এমএস
Advertisement