জাতীয়

ভুয়া ওসি-এসআইয়ের প্রতারণা

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে ভুয়া ওসি ও এসআইসহ প্রতারকচক্রের তিন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব।

Advertisement

আটকরা হলেন, মোছা. শান্তা ইসলাম (২৪), রেদুয়ানুল হাসান শুভ (২৬) ও কানতি শর্মা(৩৬)।

র‌্যাব-২ একটি দল শুক্রবার দুপুরে ডিএমপি ঢাকা মোহাম্মদপুর থানাধীন নবোদয় আবাসিক এলাকার বি ব্লকের ৩ নং সড়কের ১ নং বাড়ির ৪র্থ তলা থেকে তাদের আটক করে।

র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মোহাম্মদ সাইফুল মালিক বলেন, র‌্যাবের কাছে বেশ কিছু জায়গা থেকে এই ধরনের প্রতারণার কিছু তথ্য আসার পর র‌্যাব-২ এর একটি বিশেষ দল মাঠ পর্যায়ে তদন্ত শুরু করে।

Advertisement

লুৎফিয়া কামরুন রাই (২৪) নামে একজন র‌্যাব-২, সিপিসি-২ ক্যাম্পে অভিযোগ করেন যে, গত ১৭ মার্চ তার ছোট বোন বাসায় বেড়াতে আসেন। ২২ মার্চ ছোট বোন চট্টগ্রামে যান। পরদিন বেলা ১১টায় অজ্ঞাতনামা একটি মোবাইল নম্বর হতে লুৎফিয়া কামরুন রাইয়ের ব্যবহৃত নম্বরে একটি কল আসে। কলটি রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে লুৎফিয়া কামরুন রাইয়ের ছোট বোনের পরিচয় দিয়ে বলে ‘আপু আমি বিপদে আছি’। আমার ব্যাগে ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ আমাকে আটক করেছে, টাকা দিলে ছেড়ে দিবে বলে জানায়। সে ভাঙা ভাঙা গলায় কান্নার সুরে কথা বলতেছিল।

ফোন কেড়ে নিয়ে নিজেকে হাইওয়ে পুলিশের এসআই পরিচয়ে একজন জানান, তোমার বোন এখন আমাদের হেফাজতে আছে। বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে খুব তাড়াতাড়ি ২০ হাজার টাকা দিলে ছেড়ে দেয়া হবে। এর বেশি কিছু জানতে চাইলে আমার ছোট বোনকে কোর্টে চালান দিয়ে দেবে। তিনি টাকার পাঠানোর জন্য বিকাশ নম্বরও দেন।

অভিযোগে তিনি আরও বলেন, ছোট বোনের বিপদের কথা চিন্তা করে ওই বিকাশ নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠাই। ওই টাকা পাঠানোর পর এসআই জানায় বিষয়টি তাদের অফিসার জেনে গেছে তাদেরও টাকা দিতে হবে বলে আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করেন।

এরপর লুৎফিয়া বিষয়টি চাচাকে জানান। চাচাও ওই কথিত এসআইয়ের সঙ্গে কথা বলেন। আমার ছোট বোনের কণ্ঠ নকল করে আমার চাচ্চুকে বলে ‘চাচ্চু আমাকে বাঁচাও, আমার গায়ে হাত দিচ্ছে’ এ সময় এসআই ওসি স্যার জেনে গেছেন বলে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।

Advertisement

তবে পরদিন ২৩ মার্চ সকালে ফোন করে জানায়, দুপুরের খাবার খেয়ে চট্টগ্রামে এর দিকে রওনা দেবে। ঘটনা সম্পর্কে অবগত করা হলে সে কিছু জানে না বলে জানায়। প্রতারণা বুঝতে পেরে র‌্যাব-২ এ অভিযোগ করলে আজ তাদের আটক করে র‌্যাব-২।

আটকরা প্রতারণার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সত্যতা স্বীকার করে। দীর্ঘদিন ধরে তারা বিভিন্ন কৌশলে সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে, মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে, সরকারি কর্মচারীর ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। জেইউ/জেএইচ