অর্থনীতি

আড়াই শতাংশ প্রধান সূচক হারিয়েছে ডিএসই

গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই বড় দরপতন হয় দেশের শেয়ারবাজারে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমে প্রায় আড়াই শতাংশ। সূচকের বড় পতনের পাশাপাশি কমে লেনদেনের পরিমাণ। সেইসঙ্গে মোটা অঙ্কের বাজার মূলধন হারায় ডিএসই।

Advertisement

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, দরপতন দিয়ে শুরু হয় গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার। পরের তিন কার্যদিবসও দরপতন অব্যাহত থাকে। তবে শেষ কর্যদিবস বৃহস্পতিবার সূচকের বড় উত্থান হয়। কিন্তু সেই উত্থান বড় দরপতনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে মাত্র ৫২টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বাড়ে। অপরদিকে দাম কমে ২৮০টির। আর অপরিবর্তিত থাকে ১৯টির দাম।

সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের এ দরপতনের কারণে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৬২১ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ৭ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ৯ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা।

Advertisement

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে ১৩৩ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে হয় ৪৫ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৩ শতাংশ।

অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমে ৪৫ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ২০ দশমিক ২২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমে ৩৬ দশমিক ২০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ১২ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৪ শতাংশ।

এদিকে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয় ৩৩৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪০২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমে ৬৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বা ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

Advertisement

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ১ হাজার ৬৭৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ১২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমে ৩৩৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা বা ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৪ দশমিক ২৭ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিসটিবিউশন কোম্পানির শেয়ার। কোম্পানিটির ১০০ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয় ৯৯ কোটি টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। ৭০ কোটি ৬১ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- ফরচুন সুজ, মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, এস্কয়ার নিট কম্পোজিট, ইস্টার্ন কেবলস, কিট বেনকিজার এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল।

এমএএস/জেডএ/পিআর