আসন্ন হজে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন জেদ্দা বিমানবন্দরের পরিবর্তে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন করার ব্যাপারে সৌদি আরব সম্মত হলেও শিডিউল ফ্লাইটের যাত্রীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। তাদের আগের বছরের মতো জেদ্দা বিমানবন্দরেই ইমিগ্রেশন করতে হবে।
Advertisement
শুক্রবার সকালে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ সফররত সৌদি আরবের ডাইরেক্টর জেনারেল (পাসপোর্ট) মেজর জেনারেল সোলাইমান আব্দুল আজিজ ইয়াহ ইয়াহর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। এ সময় উভয়পক্ষ বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সৌদি আরবের পরিবর্তে বাংলাদেশে সম্পন্ন করার ব্যাপারে সম্মতি জ্ঞাপন করেন এবং উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পারস্পরিক সর্বাত্মক সহযোগিতার বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
গণমাধ্যম কর্মীরা ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চান যে সব হজযাত্রী চট্টগ্রাম বা সিলেট থেকে সৌদি আরবে যাবেন তাদের ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই হবে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে ধর্ম সচিব বলেন, ‘গত বছর সৌদি এয়ারলাইন্স আনুমানিক ৮ থেকে ১০ হাজার যাত্রী শিডিউল ফ্লাইটে পাঠায়। কোনো হজযাত্রী শিডিউল ফ্লাইটে গেলে তাকে আগের বছরের মতো সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দরেই ইমিগ্রেশন করতে হবে।’
Advertisement
আসন্ন মৌসুমে পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজারসহ মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মোট হজযাত্রীর শতকরা ৫০ ভাগ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও অবশিষ্ট ৫০ ভাগ সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ডেডিকেটেড (সরাসরি) ফ্লাইটে যাত্রী পরিবহন করলেও সৌদি এয়ারলাইন্স কিছু সংখ্যক শিডিউল ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহন করে। তারা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়াও চট্টগ্রামের শাহ আমানত ও সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দর থেকেও শিডিউল ফ্লাইটে সাধারণ যাত্রীরা ছাড়াও হজযাত্রী পরিবহন করে।
এমইউ/এনডিএস/পিআর
Advertisement