সুরের মূর্ছনায় মালয়েশিয়ার সেগী কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলা নতুন বছর ১৪২৬ সালকে অগ্রীম বরণ করে নিল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
‘আনন্দ আত্মপরিচয়ের সন্ধান ও মানবতা’ এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শুরু করে মালয়েশিয়ার কুটা দামান সারা সেগী কলেজের হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্টের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে শুরু হয় বর্ষবরণের আয়োজন। বাহারি রঙের পোশাকে শিক্ষার্থীরা সুর-ছন্দ আর তালে তালে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়।
অনুষ্ঠানে গান, কবিতা আর বাদ্যযন্ত্রের মুর্ছনায় বিমোহিত হন বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা। অনেকে আবার শিল্পীদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অনুষ্ঠানস্থল মুখরিত করে তোলেন। এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙালির বাহারি রকমের বৈশাখী খাবারেরও আয়োজন করা হয়।
Advertisement
বৈশাখী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম বাণিজ্য সচিব মো: রাজিবুল আহসান। এ ছাড়া সেগী কলেজের প্রিন্সিপাল নূরম্যান চু সিউ জুইন,অপারেশন প্রধান উদা চেইন মেং লি, মোহাম্মদ ফেরদাউস লু, ডিপার্টমেন্ট অব হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম বোনি লোপেজ, প্রবাসী কমিউনিটি নেতা মকবুল হোসেন, নাজমুল ইসলাম বাবুল, মো. আবু হানিফ, এসকে সেন্টু সাংবাদিক আহমাদুল কবির, ফরহাদ হোসেইন, একরামুল হক এবং প্রকল্প উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন ডিন চাউ জেরিন আন্জুম ও বৃষ্টি খাতুন সাবা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. রাজিবুল আহসান বলেন, ‘জরা আর দুঃখ ভুলে যা কিছু পুরনো আর জীর্ণতাকে বাদ দিয়ে বাঙালি গাইছে নতুনের গান। প্রার্থনা একটাই- জাতি যেন পরাভূত করতে পারে সকল অশুভ শক্তি। চৈত্রের রুদ্র দিনের পরিসমাপ্তি শেষে বাংলার ঘরে ঘরে এবং প্রবাসে নতুন বছরকে আবাহন জানাতে আমরা সবাই মিলিত হয়েছি। বাংলা নতুন বছর সবার মাঝে বয়ে আনুক সুখ ও সম্মৃদ্ধি।’
মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সাফল্যের বিষয় উল্লেখ করে তাদের ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন দূতাবাসের প্রথম সচিব মো. রাজিবুল আহসান। এ ছাড়া লেখাপড়ার পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে আমাদের সাংস্কৃতি, কৃষ্টিকালচার তুলে ধরারও আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথি ও শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন আয়োজক শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
এনএফ/এমএস